নিবন্ধনের জন্য ৪৪ পোর্টাল নির্বাচিত

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২০; সময়: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ |
নিবন্ধনের জন্য ৪৪ পোর্টাল নির্বাচিত

পদ্মটাইমস ডেস্ক : অবশেষে শুরু হলো অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন। প্রথম দফায় ৩৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১০টি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনকে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার এই নিউজ পোর্টালগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সমস্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর পক্ষে সরকার নির্ধারিত সংস্থাসমূহের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে, শুধুমাত্র সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হলো এবং তাদেরকে প্রাথমিক নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হলো।

এতে বলা হয়, পরবর্তীতে অন্যান্য অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হবে। তাই এই বিষয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অনাপত্তিপত্র পাওয়া নিউজ পোর্টালগুলোকে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অনেকগুলো অনলাইনের ব্যাপারে রিপোর্ট পেয়েছি। আপাতত ৫০টি অনলাইনের ব্যাপারে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সেগুলো আজকে রাতে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে নিবন্ধন করে নিতে পারবে।

তিনি বলেন, অনেক অনলাইনের ব্যাপারে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে, যাদের ব্যাপারে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাদের জানিয়ে দেয়া হবে। আবার ওয়েবসাইটে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না, তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট নেগেটিভ তা নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া, যেহেতু তাদের ব্যাপারে আমরা এখনো রিপোর্ট পাইনি সেজন্য তাদের নামগুলো হয়তো আজকে আপলোড হবে না। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনগুলোর ব্যাপারে রিপোর্ট এলে তারা সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, এ তালিকা থেকে কারো নাম বাদ পড়লে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে মাত্র ৫০টির নাম আজকে আপলোড হবে। আরো অনেকগুলো ধীরে ধীরে আপলোড হবে, এটি চলমান প্রক্রিয়া। এগুলো করতে কয়েকমাস সময় লাগবে।

মন্ত্রী বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে যখন দেশ ডিজিটাল হয়েছে, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়ে। কিন্তু প্রায় দেখতে পাই, সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশন করার যে প্রতিযোগিতা সেটি করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একই সঙ্গে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়। অনেকের চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়ার কাজে লিপ্ত হয়। যারা এগুলো করেছেন তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই এসেছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই রেজিস্ট্রেশনের কাজ করা হচ্ছে।

  • 55
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে