পাটকলের জন্য কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২০; সময়: ৪:১৯ অপরাহ্ণ |
পাটকলের জন্য কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পাট উৎপাদনের ইতিহাস আমাদের সেই গত তিনশ বছরের। বাংলার গর্বের ইতিহাস ‘সোনালী আঁশ’। সেই পাটকলগুলোর উৎপাদন আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। কোনো পাটকল বিক্রি করা হবে না, অংশীদারি ভিত্তিতে এগুলো আবারো চালু করা হবে।

শুক্রবার (৩ জুলাই) সিদ্ধেশ্বরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে যখন আমি পাটকলের বিষয়ে জানাই তখন উনি কেঁদেছেন। এটা আমার মনে হয়েছে। আমি তাকে সব জানিয়েছি। উনি জানিয়েছেন সব পাওনা সময় মতো পেয়ে যাবেন।’

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি মাসেই জুন মাসের বেতন ও আগামী তিন দিনের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মোট পাওনা জানা যাবে। বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা বাড়ছে। একটি পাট গাছের প্রতিটি অংশ কাজে লাগে। আমরা পাটকল বন্ধ করছি এটা ঠিক না। এর আধুনিকায়ন হবে।’

দেশের কোন পাটকল বিক্রি করা হবে না, অংশীদারি ভিত্তিতে আবারো পাটকল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। শুক্রবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

একই সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘পাটকল শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে পাটমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে শ্রমিকদের। তাদের পুরো টাকা যেন খরচ না হয়ে যায় সে জন্যই তাদের অর্ধেক টাকা সঞ্চয়পত্র হিসেবে রাখা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাটকল শ্রমিকদের চলতি বছরের জুন মাসের মজুরি আগামী সপ্তাহে তাদের ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হবে। নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও উভয় মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে।’

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাটকল শ্রমিকদের ঠকানো হবে না। তাদের দুই ধাপে টাকা দেয়া হবে। অর্ধেক দেয়া হবে ক্যাশে, বাকি অর্ধেক দেয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে।’

‘পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সকল পাওনার ৫০ শতাংশ স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ স্ব স্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতেই পাওনা হিসাব করা হবে।’

এ সময় তিনি অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যাংক হিসাব নম্বর অবিলম্বে বিজেএমসিকে জানাতেও অনুরোধ জানান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

প্রায় ২৫ হাজার পাটকল শ্রমিক অবসরকালীন সুবিধাসহ প্রায় ৫ হাজার কোটি পাবেন জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে