দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবি

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২০; সময়: ৮:০৯ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিভিন্ন গবেষণায় প্রমানিত ই-সিগারেট অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য থেকেও আরোবেশী স্বাস্থ্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশের সনামধন্য একটি দৈনিক ইংরেজি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ই-সিগারেট সর্ম্পকে সেখানে অধ্যাপক মুন সন ট্যাং, ইনভাইরনমেনটাল মেডিসিন, নিউওয়ার্ক বিশ্ববিদ্যালয় ও তার গবেষক দল গবেষনা করে প্রতিবেন প্রকাশ করেন যে ইসিগারেট থেকে যে নিককোটিং উৎপাদিত হয়ে যে রাসায়নিক দ্রব্যে পরিনিত হয় যা মাবনদেহের ডিএনএ, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, রøাডার ও জেনিটিক কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে তথ্য সংগৃহিত দৈনিক প্রাকশিত গার্ডিয়ান প্রত্রিকা।

গত ৫ জুলাই ২০২০ রবিরার রাত ৯ টায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত একটি অনলাইন ভিত্তিক লাইভ করোনা সংলাপ পর্ব-১৯, “ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করনে গণমাধ্যমের করনীয়” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সনামধন্য সাংবাদিক জনাব মীর মাসরুর জামান, সিনিয়র বার্তাসম্পাদক, চ্যানেল আই, জনাব ডা: ফাহিম আহমাদ, প্রিভেন্টটিভ মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ এবং নিবার্হী সম্পাদক স্বাস্থ্য টিভি ও সম্পাদক স্বাস্থ্য পাতা দৈনিক যুগান্তর। অনুষ্ঠানটি সঞালনা করেন জনাব শারমিন রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর। জাতীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা পালন করার জন্য সমপ্রতি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক স্পোশাল রিকোগনেশন এ্যাওর্য়াড অর্জন করেন।

সিনিয়র বার্তাসম্পাদক, চ্যানেল আই, মীর মাসরুর জামান বলেন, ই-সিগারেট মানবদেহের ফুসফুস ক্যান্সার ছাড়াও অন্যান্য গুরত্বপূর্ন অঙ্গেও ক্ষতি করে থাকে যা বিবেচ্য বিষয়। তিনি আরো বলেন তামাক কোম্পানীগুলো সিএসআর এর নামে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচাররের জন্য লোক চোক্ষুর অন্তরালে নানা প্রবাকান্ডা পরিচালনা করে থাকে। অনেক সময় মিডিয়া বুঝে না বুঝে তাদের এসকল প্রবাকান্ডার প্রচার করে থাকে যে বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। ই-সিগারেট ছদ্দ আবরনের একটি তামাক পণ্য এর ক্ষতিকর দিক সর্ম্পকে মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরে সকলকে সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যমের কাজ হচ্ছে সমাজের ভালো দিকটাকে তুলে ধরা ও খারাপটাকে গ্রহনে নিরুৎসাহিত করনে সকলকে সচেতন করা। আশা করি এ বিষয়ে সকল গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীগণ তামাকজাত দ্রব্যসহ অন্যান্য সকল ক্ষতিকর দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারসহ অন্যান্য সকল কর্মকান্ডে সমপৃত্ব হওয়ার বিষয়ে সচেতনা অবলম্বন করতে হবে।

প্রিভেটিভ মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ এবং নিবার্হী সম্পাদক স্বাস্থ্য টিভি ও সম্পাদক স্বাস্থ্য পাতা দৈনিক যুগান্তর ডা: ফাহিম আহমাদ বলেন, ই-সিগারেটে ৭ হাজার রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে যার মধ্যে সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ৭০টি রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি রয়েছে।অনেকের মধ্যে ভুল ধারনা রয়েছে ই-সিগারেট এর স্বাস্থ্য ক্ষতি পরিমান কম বা হয়না আমাদের জানতে হবে নিকোটিন ব্যতিত কোন তামাক পণ্য হয় না তাই ই-সিগারেটে নিকোটিনতো রয়েছেই এছাড়া আরো অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ রয়েছে যা মানব দেহের জন্য আরোবেশী মারত্বক ক্ষতিকর। ধূমপানকে মাদদ্রব্য গ্রহনের গেটওয়ে বা দরজা বলা হয়। একজন যুবকের ধূমপান থেকেই মাদক গ্রহনের হাতেক্ষরি হয়ে থাকে। মানোনীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক বিরোধি জিরোটলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে মাদকের পূর্বে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাক জাত দ্রবের উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতে হবে।

উপস্থিত সকল সাংবাদিকগণ বিশ্বাস করেন ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে যদি না সকল মিডিয়া একযোগে কাজকরে। তাই দেশের যুব সমাজকে রক্ষার্থে গণমাধ্যম, সরকার ও জনসাধারনকে একযোগে কাজ করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে