যেসব খাবার খেলে কমে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২১; সময়: ১২:০৭ অপরাহ্ণ |
যেসব খাবার খেলে কমে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মমাফিক খেতে হয় অনেক কিছুই। তবে প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় এমন অনেক কিছু আছে যা ঘটাচ্ছে উল্টোটা। মানে এমন কিছু খাবার আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ে যেতে পারে রসাতলে। ইমিউন সিস্টেমের জন্য ক্ষতিকর এমন খাবারের তালিকায় রয়েছে-

বাড়তি চিনি

সরাসরি চিনি হোক আর চিনিযুক্ত খাবার, এর বদনাম শুনে আসছেন নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন ধরে। জেনে রাখুন, স্বাস্থ্য বিশারদরা কিন্তু চিনিকে এমনি এমনি হোয়াইট পয়জন তথা সাদা বিষ বলে ডাকেন না। একে তো এটি রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে অনেক ঝামেলা পাকায়, তারওপর তৈরি করে টিউমার নেক্রোসিস আলফা, সি-রিয়েকটিভ ও ইন্টারলিউকিন-৬ নামের কিছু খারাপ গোছের প্রোটিন। এগুলোর সবকটাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাধা প্রদানে ভূমিকা রাখে।

আবার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়লে সেটা পাকস্থলীতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্রকেও নষ্ট করে। যা পরে রোগ-বালাইয়ের ক্ষেত্রে ইমিউন রেসপন্স সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে শরীরকে।

লবণ
প্যাকেটজাত চিপস থেকে শুরু করে বেকারি আইটেম, অনলাইনে অর্ডার করা পাস্তা থেকে ঝোল ঝোল তরকারি; লবণের রাজত্ব সবখানেই। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে দেখা দেয় অটোইমিউন ডিজিজ। এর মানে হলো বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠা। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রম নষ্ট হতে থাকে। তাই ডায়েট থকে বাদ দিনে অতিরিক্ত লবণ।

ভাজাপোড়া
ভাজাপোড়ায় থাকে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্টস তথা এজিই নামের আণুবীক্ষণিক কিছু উপাদান। উচ্চতাপে প্রোটিন বা চর্বির সঙ্গে চিনির বিক্রিয়ায় তৈরি হয় এটি। শরীরে এজিই-এর পরিমাণ বেশি হলে সেলুলার ড্যামেজ তথা কোষ নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরে যা নানাভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। তাই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শরীরকে ফিট রাখতে তালিকা থেকে বিদায় দিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, সিঙ্গাড়া, সমুচা, চিপস, ফ্রায়েড চিকেন, প্যান ফ্রায়েড স্টেক-এর মতো লোভনীয় নামগুলো।

অতিরিক্ত চা-কফি
চা-কফির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশ উপকার করে সন্দেহ নেই। কিন্তু এতে আবার ক্যাফেইনও থাকে। অতিমাত্রার ক্যাফেইন ঘুমের বারোটা বাজাবে ও পক্ষান্তরে ইমিউন সিস্টেমেরই ক্ষতি করতে। ঘুমের অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে চা-কফি খাওয়া যাবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে