পেট, কোমর ও নিতম্বের মেদ কমাবে যোগ ব্যায়াম ‘হলাসন’

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২১; সময়: ১২:১৩ অপরাহ্ণ |
পেট, কোমর ও নিতম্বের মেদ কমাবে যোগ ব্যায়াম ‘হলাসন’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বর্তমানে দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তাইতো করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। এসময় সংক্রমণ রোধে আমাদের অনেক বেশি সচেতন থাকা জরুরি। সেই সঙ্গে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

তাইতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই জরুরি। করোনা সংক্রমণ রোধেও যা সবচেয়ে ফলপ্রসূ। এছাড়া নতুন স্বাভাবিক অবস্থায়ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা সুস্থতার জন্য আবশ্যক। অন্যথায় আরো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

এসময় শরীর আর মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নিজেকে ঠিক রাখতে আপনি আশ্রয় নিতে পারেন যোগব্যায়ামের। যাকে ইয়োগা চর্চা হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। শুরুতে একটু কষ্টকর এবং পরিশ্রমী মনে হলেও কিছু দিনের নিয়মিত অনুশীলনে এ ব্যায়াম বেশ মানিয়ে যাবে। ৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা চর্চা করা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা চর্চা মন ও শরীরের সঙ্গে সংযোগ এবং উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে। যোগ ব্যায়ামের সুবিধা হলো, এটি মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করে।

তাই এই সময় নিয়মিত ইয়োগাগুলো চর্চা করতে পারেন। এই যোগব্যায়াম বা ইয়োগাগুলো চর্চার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে ‘হলাসন’ একটি। আজ আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করবো।

‘হলাসন’

প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরের দুপাশে তালু উপুড় করে রাখুন। এবার দুই পা জোড় করে ওপরে তুলুন। এরপর দুই পা জোড় রেখে মাটি থেকে শরীরটা তুলে পা দুটো মাথার পেছনে রাখুন।

এভাবে কিছুদিন চেষ্টা করার পর পা দুটো জোড় অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে মাথার পেছনে নিয়ে দুপায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মেঝে স্পর্শ করুন। এ ভঙ্গিমায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন। দম স্বাভাবিক থাকবে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় এসে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় করুন। এভাবে তিন থেকে পাঁচ বার করতে পারেন। আসনটি পুরোপুরি আয়ত্তে এলে একবারে এক মিনিট পর্যন্ত করা যায়।

উপকারিতা

>> টনসিলের সমস্যা দূর হয়।

>> কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে।

>> মেরুদণ্ডে স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।

>> এ আসনে পেটের মেদ কমে। কোমরে ও নিতম্বে মেদ জমতে পারে না।

>> এ আসনের ফলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ায় তাদের ক্রিয়াকলাপকে গতিশীল করে।

>> এ আসনটি নিয়মিত করলে ডায়াবেটিস, বাত, সায়াটিকা, স্ত্রীরোগ হতে পারে না। আর এসব রোগ থাকলেও তা নিরাময় হয়।

>> আমাদের গলার কাছে থাইরয়েড গ্রন্থি রয়েছে। মোটা বা চিকন হওয়া কিছুটা নির্ভর করে এই গ্ল্যান্ড-এর স্বাস্থ্যের ওপর অর্থাৎ থাইরয়েড গ্রন্থির অসুস্থতার জন্যে কম হরমোন নিঃসরণ হলে শরীর অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় আর বেশি হরমোন নিঃসরণ হলে স্নায়ুর উত্তেজনা বৃদ্ধি, গলগণ্ড, অত্যধিক শুকনা, চক্ষুদ্বয়ের অত্যধিক স্ফীতি, হৃৎপিণ্ডের গতি (হার্ট বিট) বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। তাই এ আসন করলে থাইরয়েডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল হয়ে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সুস্থ রাখে। থাইরয়েড হরমোন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।

সতর্কতা

যেকোনো ইয়োগা চর্চার আগে অভিজ্ঞ ডাক্তার বা ইয়োগা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • 99
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে