জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরগুলো যেসব তথ্য বহন করে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০; সময়: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ |
জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরগুলো যেসব তথ্য বহন করে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রমাণপত্র হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে প্রথমবারের মতো ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়। এর পর থেকেই নিত্যদিনের নানা কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যবহার প্রতিনিয়ত করলেও আমরা অনেকেই জানি না এর ১৩ বা ১৭ ডিজিটের নম্বরগুলো সম্পর্কে। জাতীয় পরিচয়পত্রের এই নম্বরকে আমরা এনআইডি নম্বর হিসেবেও জানি। এবার জেনে নেয়া যাক এই নম্বরগুলোর মধ্যে কী তথ্য লুকিয়ে আছে—

১৭ সংখ্যার পরিচয়পত্র

১. যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৭ সংখ্যার, তাদের প্রথম ৪টি হচ্ছে জন্ম সাল। তবে প্রথম পর্যায়ে বিতরণকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরগুলো ১৩ সংখ্যার। এতে জন্ম সাল যুক্ত করা হয়নি।

২. পরের সংখ্যা দু’টি হচ্ছে জেলা কোড। যেমন: ঢাকার জেলার কোড ২৬।

৩. এর পরই রয়েছে আরএমও কোড। সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৯, ক্যান্টনমেন্ট ৫, পৌরসভা ২, পল্লী এলাকা ১, পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা ৩ এবং অন্যান্য ৪।

৪. পরের সংখ্যা দু’টি হচ্ছে উপজেলার কোড।

৫. এর পরই দুই সংখ্যার ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য) রয়েছে।

৬. শেষ ছয়টি নম্বর হচ্ছে ব্যক্তিগত কোড।

১৩ সংখ্যার পরিচয়পত্র

১. প্রথম দু’টি সংখ্যা জেলা কোড নির্দেশ করে। প্রতিটি জেলারই নির্দিষ্ট কোড রয়েছে।

২. পরবর্তী সংখ্যাটি আরএমও কোড। সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৯, ক্যান্টনমেন্ট ৫, পৌরসভা ২, পল্লী এলাকা ১, পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা ৩ এবং অন্যান্য ৪।

৩. পরবর্তী দু’টি সংখ্যায় রয়েছে উপজেলা বা থানা কোড।

৪. এর পর দু’টি সংখ্যা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের জন্য)।

৫. আইডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফরম পূরণ করেছিলেন, শেষের ছয় সংখ্যা সেই নম্বরটিই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে