সঙ্গী যেমনই হোক আন্তরিকতা থাকলেই সুখ আসবে দাম্পত্য জীবনে

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২০; সময়: ৫:১৬ অপরাহ্ণ |
সঙ্গী যেমনই হোক আন্তরিকতা থাকলেই সুখ আসবে দাম্পত্য জীবনে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে সবাই চায়। তবে সুখী হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে দু’জনের উপরই। যদিও জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়ার কাজটি মোটেও সহজ নয়। তবে এ কাজে সফল হওয়ার লক্ষ্যে সবার জন্যই কিছু না কিছু পরামর্শ আছে নতুন এক গবেষণার নথিতে।

প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সাইন্সয়ে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণা। এই গবেষণার প্রধান, কানাডার ওন্টারিও’তে অবস্থিত ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ইন লন্ডনয়ের সহকারী অধ্যাপক সামান্থা জোয়েল। তিনি বলেন, একটি সফল ও সুখী দাম্পত্য জীবনের উপকরণগুলো কী তা বহু বছর ধরে বিশেষজ্ঞরা জানার চেষ্টা করছেন। তবে তাদের বেশিরভাগ গবেষণাই একসঙ্গে মাত্র কয়েকটি নির্ভরশীল বিষয় নিয়েই কাজ করেছে।

জোয়েল ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণার জন্য পর্যালোচনায় এনেছেন ১১ হাজারেরও বেশি দম্পতির তথ্য। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে প্রতিটি দম্পতিকে গড়ে এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। উদ্দেশ্য ছিল নারী ও পুরুষ তাদের মধ্যকার সম্পর্কের মান সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখে সেটা জানা এবং কোন মাপকাঠিতে সম্পর্কের মান যাচাই করা যায় তা শনাক্ত করা।

অতঃপর তারা জানতে পারেন, একে অপরের প্রতি সঙ্গী কতটা আন্তরিক সেটির উপরেই সম্পর্কের মান অনেকটা নির্ভর করে। জোয়েল আরো বলেন, সম্পর্কের সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে সঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নিচ্ছেন তার চেয়েও জরুরি হলো দুজনের মধ্যকার জুটিটা কেমন? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সঙ্গী হিসেবে যাকে বেছে নিচ্ছেন সেদিকে নজর দেয়ার আগে আপনারা একে অন্যের প্রতি কতটা আন্তরিক তা যাচাই করুন।

কিছু বিষয় সম্পর্কের মান পরিমাপ করতে বিশেষ কার্যকর। গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে মান যাচাই করেছেন তাদের বয়স, লিঙ্গ, উপার্জনের মাত্রা, ব্যক্তিত্ব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যকার সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য যেমন- পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ, কলহ, সহর্মিতা ইত্যাদি মানদণ্ডের ভিত্তিতে।

সম্পর্কের যে বৈশিষ্ট্যগুলো সন্তুটির মাত্রা যাচাই করতে সবচাইতে কার্যকর ছিল সেগুলো হলো- সঙ্গীর প্রতিশ্রতিবদ্ধতার প্রতি ভরসা, আকর্ষণ, যৌন সন্তুষ্টি, সঙ্গীর সন্তুষ্টির মাত্রার ধারণা এবং মত-বিরোধ। অপরদিকে একজন মানুষের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের ওপর সম্পর্কের সন্তুষ্টি গবেষণার শুরুতে নির্ভরশীল ছিল ২১ শতাংশ। গবেষণার শেষদিকে তা গিয়ে পৌঁছায় ১২ শতাংশে।

প্রেমের ক্ষেত্রে

সম্পর্কের গতিবিধি পরিবর্তনে দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক শুধুই দুটি মানুষের চাওয়া পাওয়া সমষ্টি নয়। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারাও সম্পর্কে সন্তষ্টি বজায় রাখার জন্য সমান জরুরি। আর ধারাবাহিকতাও এখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে