সাধারণ গুণের অসাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০; সময়: ৬:০০ অপরাহ্ণ |
সাধারণ গুণের অসাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : নানা সময় অনেকেই সমাজের, মানুষের কল্যাণে, দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসেন নিজ থেকেই। যারা নিজের খাওয়া পরার জন্য যতটুকু ভাবেননি, তার চেয়ে বেশি ভেবেছেন সমাজভিত্তিক এলাকার উন্নয়নের জন্য। তাদেরই একজন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার, পৌর সভার দক্ষিন মিলিক বাঘা (পন্ডিত পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান।

মরহুম শাহাদতুল্লাহ সরকারের ৫ ছেলের মধ্যে তৃতীয় ছেলে তিনি। রাজনৈতিক কোন পদে না থেকেও কাজ করছেন সমাজভিত্তিক উন্নয়নে। দীর্ঘ বছর ধরে বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদের সেক্রেটারি ও মাজার কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। এলাকার শিক্ষা শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে বাঘা সদরে গড়ে তোলা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের, উচ্চ-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য উৎসাহ যোগাচ্ছে। ১৯৮২সালে বাঘার প্রাণ কেন্দ্রে উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সমাজভিত্তিক কর্মভাবনার আরেকটি অগ্রগতি। ১৯৬৬ সালে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৭২ সালে শাহদৌলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মসলেম উদ্দীন আর কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তফির উদ্দীন। ওয়াকফ এষ্টেটের মোতয়াল্লী মরহুম মনিরুল ইসলামের দানকৃত সম্পত্তিতে প্রতিষ্টিত সেই কলেজটি বর্তমান সরকার সরকারি করণ করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য(বাঘা-চারঘাট) পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টার ফসল এটি।

স্থানীয়রা জানান, গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা শীত যে সময়ই হোক না কেন, বেশি সময় তার দেখা মেলে মসজিদ কিংবা মাজার প্রাঙ্গনে। উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রমে এলাকায় সাধারনত তাকে নিঃসার্থ কর্মবীর হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। বয়স ৮৩ বছর হলেও আজো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি তিনি।

আব্দুল হান্নান জানান, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাঁড়া দিয়ে অংশ গ্রহন করেছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। ১৯৭৪ সালে ‘ল’পাশ করে আইনজিবী পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু, সাবেক পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, সেটাকে কাস্তবায়নের জন্য আজীবন নিবেদিত থাকা একটি বিরল বিষয়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মানোয়ারুল ইসলাম মামুন, বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুল হানিফ বলেন, আব্দুল হান্নানকে শ্রদ্ধা করি। শ্রদ্ধার চেয়েও ভালোবাসি বেশি। তারা বলেন, আমাদের সমাজ জীবিত থাকতে কাউকে মূল্যায়ন করে না। তা সে যত ভালো কাজই করুক। আমরা চাই আব্দুল হান্নানের জীবদ্দশায় তার প্রাপ্য সম্মানটুকু যেন আমরা দিতে পারি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে