রাজশাহীর দুইটিতে নৌকার জয়, অপরটিতে বিদ্রোহী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২১; সময়: ৭:৪০ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীর দুইটিতে নৌকার জয়, অপরটিতে বিদ্রোহী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তিনটি পৌরসভার মধ্যে দুইটিতে নৌকার জয় হয়েছে। আরেকটিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোট গনণা শেষে তাদের বেসরকারি ভাবে বিজীয় ঘোষণা করা হয়।

এরা হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫৮৫ ভোট। তিনি ৪৬৩ ভোটের ব্যবধানে বিজীয় হয়েছেন। অপরদিকে, বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে বিজীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগৈর মনোনিত প্রার্থী আব্দুল মালেক মন্ডল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৩৯৯ ভোট। তিনি ৪৭০০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। আর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী বেসরকারি ভাবে নির্বাচিতি হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৯০২ ভোট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- তিন পৌরসভায় মোট ভোটার ৪১ হাজার ৬৫৪ জন। আর কেন্দ্র ২৯টি। এর মধ্যে বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । আর কাকন হাট ও আড়ানী পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পৌরসভায় নারী-পুরুষ মিলে ১৪ হাজার ৪০৫ জন ভোটার। নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যকটিতে একটি করে ভোট কেন্দ্র। এছাড়া এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক মন্ডল। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিক ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইজন রয়েছেন। এই পৌরসভায় নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বাঘার আড়ানী পৌরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তির আলীর কর্ম সমর্থকদের মধ্যে মারপিট ও আড়ানী বাজারের দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এসবঘটনায় স্থানীয় থাকায় বিষ্ফোরক আইনের ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দারে করেন- নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি।

এছাড়া এই পৌরসভায় মোট ভোটার ১৩ হাজার ৮৮৪ জন।  এভিএমএ ভোটগ্রহণের জন্য নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যকটিতে একটি করে কেন্দ্র করা হয়েছে। এনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তোজাম্মেল হক ছাড়াও স্বতন্ত্র দুজন প্রার্থী ছিলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র মুক্তার আলী ছাড়াও রিবন আহম্মেদ বাপ্পি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে, গোদাগাড়ীর কাকন হাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুল মজিদ বাদে নৌকার প্রতীক পেয়েছেন, একেএম আতাউর রহমান খান। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ। আর জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রুবন হাসান। এই পৌরসভায় পরিবেশ সুষ্ঠ থাকায় নিজ নিজ পক্ষে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, তিনটি পৌরসভায় মোট ২৯টি ভোট কেন্দ্র। নির্বাচনী এলাকার সার্বিক পরিবেশ ভালো রয়েছে। এছাড় নির্বাচনের দিনে কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার থাকবে। এছাড়া মোবাইলটিম, থানা টহল পুলিশ ছাড়াও ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে থাকবে।

  • 398
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে