রাত পোহালেই বড়দিন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২০; সময়: ২:৪৮ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয় / লিড
রাত পোহালেই বড়দিন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাত পোহালেই বড়দিন। ২৫ ডিসেম্বর, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন। খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও গির্জায় গির্জায় চলছে সাজসজ্জা। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল রূপে সাজানো ‘ক্রিসমাস ট্রি’ কিংবা সান্তাক্রুজের ছবি। কেক কেটে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপিত হয়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা হবে উপাসনালয়ে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবে অংশ নেন। তবে করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব সীমিত পরিসরে করার কথা জানিয়েছেন গির্জা কর্তৃপক্ষ। করোনার জন্য কিছু প্রস্তুতি সীমিত করা হয়েছে। যেমন বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না, গোশালা হবে না, নগর কীর্তন হবে না, লোক সমাগম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু প্রার্থনা, কেক কাটা ও ধর্মীয় আরাধনা সঙ্গীতের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে আমরা গির্জায় হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা, উপাসনায় দেড় থেকে দুই ফুট দূরত্ব বজায় রাখা ও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে প্রবেশ নিশ্চিত করা হবে।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে  কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রত্যেকটি চার্চের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও ম্যানুয়ালি দর্শনার্থীদের তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলিব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।

চার্চ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিটি চার্চে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

জানা যায়, চার্চ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি চার্চে আর্মড ব্যান্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করবেন। যারা তল্লাশির সময় পুলিশকে সাহায্য করবেন। নারী দর্শনার্থীদের তল্লাশির জন্য নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।

চার্চ ও তার আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক অবহিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করতে বলা হয়েছে।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। বড়দিন উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা, আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে