নভেম্বরের মধ্যেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগের স্থগিত পরীক্ষা

প্রকাশিত: ২৪-০৬-২০২০, সময়: ২২:২৪ |
Share This

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনা বিপর্যয়ের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছিল একে একে দেশের প্রায় সব খাত। তারই ধারাবাহিকতায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষাও। তবে করোনা পরিস্থিতির প্রায় তিন মাস পর স্বস্তির কথা শোনালো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের স্থগিত পরীক্ষাগুলো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

তবে আগেই পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষাগুলো আগেই নেয়া হতে পারে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

করোনার প্রকোপের কারণে আটকে গেছে ৩৮, ৪০, ৪১তম বিসিএস ও নন-ক্যাডার চাকরির পরীক্ষাসহ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ১৩টি পরীক্ষা। পিছিয়ে গেছে খাদ্য অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা, ব্যান্সডকের লিখিত পরীক্ষা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরীক্ষা। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ অনেকগুলো সরকারি চাকরি পরীক্ষা প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত আছে।

স্থগিত পরীক্ষাগুলো কবে নেয়া হবে-জানতে চাইলে বুধবার (২৪ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাটা সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে হয়ে থাকে। আমরা আশা করি, অবস্থার পরিবর্তন হলে বিসিএস পরীক্ষাটা নভেম্বরের মধ্যেই নিতে পারব। আর অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে যাদের আবেদন করা আছে, তারা যখনই পরীক্ষা হবে তখনই তারা পরীক্ষা দিতে পারবে। অবস্থা যদি আগেই ভালো হয়ে যায়, তবে তো সেপ্টেম্বর/অক্টোবরেই অন্যান্য পরীক্ষাগুলো নেয়া যাবে।

তিনি বলেন, সবকিছুই পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যে যদি সব শেষ হয়ে যায়, আমরা মোটামুটি ভালো পর্যায়ে চলে যাইৃ তখন তো স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারো নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স শিথিলের উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চাইব। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি যদি পাই তাহলে আপৎকালীন সময়টুকুতে বয়স শিথিল হবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি, চাকরিপ্রার্থীদের কেন আমরা দেব না?

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
উপরে