১২ টুকরো পাথর ‘চুরির’ দায়ে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২; সময়: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ |
১২ টুকরো পাথর ‘চুরির’ দায়ে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ব্রিটেনের অবসরপ্রাপ্ত একজন ভূতাত্ত্বিক ইরাকের ইরিদু অঞ্চলে ভূতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্ত্বিক সফরে গিয়ে সেখানকার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা থেকে ১২টি পাথর এবং ভাঙা মৃৎপাত্রের টুকরো নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। অবৈধভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার স্মারক সংগ্রহ করায় ব্রিটিশ এই পর্যটককে বিচারের কাঠগড়ায় তুলেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিক জিম ফিটন এবং তার সহযোগী পর্যটক জার্মানির ভলকার ওয়াদারম্যান ইরাকে এখন মৃত্যুদণ্ডের সাজার মুখোমুখি হয়েছেন।

৬৬ বছর বয়সী জিম এবং ওয়াদারম্যান রোববার প্রথমবারের মতো ইরাকের একটি আদালতের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। কয়েদিদের জন্য নির্ধারিত হলুদ রঙের পোশাকে আদালতে দেখা গেছে তাদের।

ব্রিটিশ এবং জার্মান এই দুই পর্যটক আদালতের তিন সদস্যের বিচারকের প্যানেলকে বলেছেন, তারা অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করেননি।

গত ২০ মার্চ ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরকারী দলটির চলে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময় তাদের কাছ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার পাথর এবং ভাঙা মৃৎপাত্রের টুকরো পাওয়া যায়।

ফিটন বলেছেন, ইরিদু থেকে সংগ্রহ করা পাথর ও মৃৎপাত্রের টুকরো গুলো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইরাকি আইন সম্পর্কে না জানার কারণে সেগুলো নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন।

একজন ভূতাত্ত্বিক হওয়ায় ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা থেকে স্মারক টুকরো সংগ্রহ করার অভ্যাস তার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিটন। তবে সেগুলো বিক্রি করার কোনও ইচ্ছা ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বাথে বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ফিটনের পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই মামলার কারণে মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে না পারায় ৬৬ বছর বয়সী ফিটনের হৃদয় ভেঙে গেছে।

ফিটনকে মুক্ত করতে সহায়তার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিসে কাছে একটি অনলাইন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তার শ্যালক স্যাম তাসকার বিবিসিকে বলেছেন, এই পিটিশনে এক লাখ ২৪ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে