দিল্লি অবরুদ্ধ করার হুঙ্কার ভারতের চাষিদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২০; সময়: ১২:২১ অপরাহ্ণ |
দিল্লি অবরুদ্ধ করার হুঙ্কার ভারতের চাষিদের

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেশটির কৃষকরা দিল্লি অবরুদ্ধ করার হুঙ্কার দিয়েছেন। পাঞ্জাবসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা কৃষকরা দিল্লিতে ঢোকার জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ৩ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে চাষিদের আলোচনা নির্ধারিত রয়েছে। চাষিরা সরকারের নির্ধারণ করা ময়দানে সরে গেলে তার আগেই আলোচনা হতে পারে। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।

রোববার সরকারের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কৃষক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তারা সরকারের মর্জিমাফিক বুরারি ময়দানে সরছেন না। কারণ সেটি আসলে খোলা জেলখানা।

তার বদলে দিল্লিতে প্রবেশের পাঁচটি রাস্তাতেই অবরোধ করার হুশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতাদের দাবি, তাদের কাছে চার মাসের রসদ রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না।

এর মধ্যেই বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে হরিয়ানার প্রভাবশালী পঞ্চায়েতরা কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। তারাও সোমবার দিল্লির অভিমুখে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছেন দাদরির বিজেপি সমর্থিত নির্দলীয় বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গোয়ান। মোদি সরকারকে কৃষি আইন পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।

অমিত শাহের প্রস্তাব নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলোর আলোচনার পর পাঞ্জাবের ভারত কিষান ইউনিয়নের (ক্রান্তিকারী) সভাপতি সুরজিৎ সিংহ ফুল বলেন, সরকার যেভাবে আলোচনার জন্য শর্ত রেখেছে, তাকে আমরা কৃষক সংগঠনের অপমান বলে মনে করি। আমরা কোনোভাবেই বুরারি ময়দানে যাব না।

হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে ঢোকার টিকরি ও সিংঘু সীমানায় কৃষকরা অবরোধ শুরু করেছেন। ফলে এক নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত বন্ধ। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢোকার গাজীপুর সীমানাতেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এর পরে চাষিরা আরও দুই সড়ক বন্ধ করার হুশিয়ারি দিলেও মোদি সরকার এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড়।

উল্টো রোববার রেডিওর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদির দাবি, ‘দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া কৃষি সংশোধনী আইনের ফলে কৃষকরা শুধু শিকলমুক্ত হননি, নতুন অধিকার ও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা এসে পৌঁছেছে তাদের হাতে।

রোববার সকালে মোদির এমন বার্তার পরেই কৃষক নেতারা বুঝে যান, বিজেপি সরকার কোনোভাবেই আইন প্রত্যাহার করবে না।

কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও জানিয়ে দেন, চাষিদের স্বার্থেই কৃষি আইন আনা হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে আমাদের তিনবার আমলা, মন্ত্রী স্তরে আলোচনা হয়েছে।

  • 5
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে