বড়দিনের আগেই মিলতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০; সময়: ১২:৩২ অপরাহ্ণ |
বড়দিনের আগেই মিলতে পারে ফাইজারের ভ্যাকসিন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আসন্ন বড়দিনের আগেই পাওয়া যেতে পারে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন।

ফাইজার ও এর জার্মান পার্টনার বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করা এই ভ্যাকসিন নিয়ে এমন আশার কথা জানিয়েছেন বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহিন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, যদি সব ঠিক থাকে, তবে আমার ধারণা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা অনুমোদন পাব। তাহলে বড়দিনের আগেই ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করা যাবে। বাস্তবিক অর্থেই সবকিছু যদি ঠিকপথে এগোয়।

এর আগে বুধবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর এবং এতে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানায় ফাইজার। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এরমধ্যে বয়স্কদের বিশেষ করে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর।

গত সপ্তাহে ফাইজার জানিয়েছিল, ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির চলমান তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই ভ্যাকসিনটি সব বয়সী মানুষের কিংবা বর্ণ বা নৃগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যেও সমানভাবে ভালো কাজ করে।

ফাইজার ও এর জার্মান পার্টনার বায়োএনটেক বলছে, তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের আবেদন করবে।

ফাইজারের এ তথ্যে এসেছে সারাবিশ্বের প্রায় ৪১ হাজার মানুষকে দেওয়া দুটি ডোজের ভিত্তিতে। যখন চলতি সপ্তাহে আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।

ফাইজার এবং বায়োএনটেকের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, ১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে টিকা প্রয়োগ করার ভিত্তিতে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে পাওয়া গেছে।

আমেরিকা, জার্মানি, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ১৫০টি সাইটে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থা দুটি এ বছরই ভ্যাকসিনর ৫০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে চাইছে। এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডোজ পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদী ফাইজার-বায়োএনটেক।

করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। এরমধ্যেই এগিয়ে চলছে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন ও ট্রায়াল গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও বেশি গবেষণার কাজ চললেও মাত্র কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

  • 18
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে