জয়-পরাজয় নিয়ে ট্রাম্পের পল্টি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২০; সময়: ১০:৪২ অপরাহ্ণ |
জয়-পরাজয় নিয়ে ট্রাম্পের পল্টি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রোববার (১৫ নভেম্বর) টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, পাতানো নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন। ভোট গণনায় পরিদর্শক বা পর্যবেক্ষককে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। কট্টর বামপন্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ভুয়া- বোবা গণমাধ্যমসহ আরও অনেকে ভোট কারচুপিতে অংশ নিয়েছে। মেইল ইন ভোটকে অসুস্থ কৌতুক বলেও আখ্যা দেন তিনি।

তার কিছুক্ষণ পরেই আরও দুটি টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমটিতে বলেন, পাতানো নির্বাচন। আমরা জয়ী হবো। দ্বিতীয় টুইটে তিনি বলেন, সে (বাইডেন) শুধুমাত্র ভুয়া গণমাধ্যমের চোখে বিজয়ী। আমি হার স্বীকার করিনি। আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এটি একটি সাজানো নির্বাচন ছিল।

ট্রাম্পের থেকে ৬০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট এবং প্রায় ৫০ লাখ পপুলার ভোটে এগিয়ে বাইডেন। বাইডেন পেয়েছেন ২৯০ ইলেকটোরাল কলেজভোট। ট্রাম্প পান ২৩২টি। জয়ের জন্য দরকারি ছিল ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) মার্কিন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৭ নভেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম তাদের কাছে থাকা সম্ভাব্য ফলাফলের ভিত্তিতে বাইডেনকে অনানুষ্ঠানিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে।

তারপরই পরাজয় স্বীকার করবেন না বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। শুরু করেন আইনি লড়াই। ১৫ নভেম্বর সাজানো নির্বাচনে বাইডেন জয়ী হয়েছে বলে টুইট করেন। নির্বাচনকে সাজানো বললেও বাইডেন যে জয়ী হয়েছেন তা স্বীকার করেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে ট্রাম্প বলেন, ভুয়া গণমাধ্যমের চোখে বাইডেন জয়ী। তিনি হার স্বীকার করেননি।

গেলো সপ্তাহে ১৯৯২ সালের পর প্রথম ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। সম্ভাব্য ফলাফল অনুযায়ী ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনা এবং জর্জিয়ায় জয়ী হয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাইডেন।

তারপর থেকে রিপাবলিকান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ভোটের ফলাফলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু করেন। যদিও ভোট কারচুপির অভিযোগের পক্ষে অকাট্য কোনো প্রমাণ ট্রাম্প শিবির উত্থাপন করতে পারেনি। বিশ্বনেতারা এবং জর্জ ডব্লিউ বুশসহ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আগেরদিন বুধবার ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি যে কোনোভাবে প্রেসিডেন্ট থাকতে চান। বলেন, আসন্ন জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে কে থাকবে তা সময়ই বলে দেবে। পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করায় ট্রাম্পের পক্ষে এবং বিক্ষোভে ওয়াশিংটনে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়েছে। ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। একজন ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন। চলছে ক্ষমতা বুঝে নেয়ার প্রস্তুতি। বিজয়ী ভাষণে করোনা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন বাইডেন। গঠন করেন করোনা টাস্কফোর্স।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৯ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি। করোনা মহামারীতে কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন ট্রাম্প। ফল স্বরূপ সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্তও হন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামকব্যাধী বিশেষজ্ঞ এবং ট্রাম্পের অন্যতম শীর্ষ উপদেষ্টাদের একজন অ্যান্থোনি ফাউসি। সতর্ক করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত কখনো এমন খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে