প্রথম ভ্যাকসিনেই কমবে না করোনা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে করোনার ভ্যাকসিনের দিকে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে হিউম্যান ট্রায়াল চলছে ২৩টির, যার মধ্যে তিনটি চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে। শুরু হতে চলেছে করোনার নাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও। তবে এর মধ্যেই আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রথমবারের ভ্যাকসিনেই মিলবে না করোনা থেকে মুক্তি।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রথম ধাপের করোনা ভ্যাকসিনেই রোগ মুক্তির আশা করে থাকলে ভুল হবে। কারণ, প্রথম ভ্যাকসিনেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বরং এই ভ্যাকসিনে উপসর্গ কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার একটি প্রতোবেদনে বলা হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন মানুষকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এখনই সফল হবে না।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বর্তমানে একজন মানুষকে করোনা থেকে ৫০ শতাংশ নিরাপত্তা দেয়া যায় এরকম ক্ষমতার ভ্যাকসিন তৈরি করছেন।
তারা মনে করছেন, এভাবে উপসর্গ যুক্ত আক্রান্তের সংখ্যা যদি ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়, তাহলেই অনেকটা উপকার হতে পারে। ফলে একেবারে চরম সাফল্য না পেলেও, প্রথম ধাপে আংশিক সাফল্য পাবে করোনার ভ্যাকসিন।
গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী স্যার প্যাট্রিক ভ্যালন্সে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন যাদের শরীরে দেয়া হয়েছে, তাদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর শুরুতেই করোনার ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের কাছে এসে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তাতে উপসর্গ কমবে মাত্র, পুরো মাত্রায় করোনা মুক্তি এখনই ঘটবে না।
সেই কারণেই তিনি বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে অন্য যে নিয়মকানুন ছিল, সেগুলি পালন করে যেতে হবে পৃথিবীর সাধারণ মানুষকে। ভ্যাকসিন এলেও সেই নিয়ম মানতে হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ শরীরে করোনার উপসর্গ কমাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, প্রথম একটি করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার একমাস পর আবারো একবার ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাহলেই সম্পূর্ণ নিরাপদ হওয়া যাবে।
18