থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২০; সময়: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ |
থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিহত করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে থাই সরকার। জরুরি অবস্থা কার্যকরের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ এড়াতে দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী। এসময় বিরোধীপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছাকাছি যেতে বাধা দেন তারা।

এদিকে, রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি বছরের বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকা থাই রাজা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমানোর দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও চান তারা। দেশটির টেলিভিশনে এক ঘোষণায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংককে বেআইনিভাবে অনেক লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ফের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। বুধবার ব্যাংককে থাই রাজার গাড়িবহরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ‌‌বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে এবং জনগণের শান্তি নষ্ট করছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ঘোষণায় বলা হয়েছে।

থাইল্যান্ডে রাজা বা রাজ পরিবারের বিরুদ্ধাচরণ গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। রাজার সমালোচনা করলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে। তবে ছাত্রদের নেতৃত্বে গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়। চলতি সপ্তাহেও দেশটির রাজধানীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে বৃহত্তম বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, গত শনিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ১৮ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। যদিও এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। পুলিশ বলেছে, বুধবার বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা ছিল। ঐতিহাসিক গণতন্ত্র ভাস্কর্য প্রাঙ্গণের বিক্ষোভ থেকে কিছু ফুলদানি ছুড়ে মারা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই সব শান্ত ছিল। কোনো বাধা ছাড়াই বিক্ষোভ করতে দেওয়া হয়েছে সরকারবিরোধীদের। বিবিসি।

  • 49
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে