লাদাখকে বেআইনিভাবে ভারত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে : চীন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২০; সময়: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ |
লাদাখকে বেআইনিভাবে ভারত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে : চীন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, চীন ভারতের সীমান্তে ৬০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে। এর ঠিন তিন দিন পরই লাদাখ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা দিল চীন।

চীনের অভিযোগ, বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ভারত। বিষয়টি নামতে নারাজ চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর সুবিধার জন্য ভারত যে পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে তার ঘোর বিরোধীতা করছি আমরা। তার অভিযোগ, বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। চীন একে মানতে নারাজ। অরুণাচল প্রদেশকেও ভারতের অংশ হিসেবে মানবে না চীন।

সোমবারই চীন এবং পাকিস্তান সীমান্তে ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই সেতুগুলো লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তারখণ্ড এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় তৈরি করা হয়েছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ওই দিন রাজনাথ বলেন, ‘প্রথমে পাকিস্তান এবং তার পর চীনও, মনে হচ্ছে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে সীমান্ত সংঘাত বাধানো হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, চীন এবং পাকিস্তান এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে নয়াদিল্লির সীমান্ত সংঘাতের কথাও ওই দিন তুলে ধরেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

সোমবার বৈঠকে বসে ভারত-চীন। সপ্তম রাউন্ডে সামরিক বৈঠকে অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে আলোচনা চায় ভারত। তবে চীনের পক্ষ থেকে দখলদারি মনোভাব নিয়ে বৈঠকে বসা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সেনা অবস্থান পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে রাজি চীন। তবে ভারতের সামনেও শর্ত রাখা হয়েছে। ভারতের দাবি ছিল মে মাসের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে চীনা সেনাকে। অর্থাৎ প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তের ফিঙ্গার ৮য়ে ফিরে যেতে রাজি চীন।

ভারতের সামনেও সেনা অবস্থান বদলের শর্ত রেখেছে চীন। জানানো হয়েছে ভারতকেও নিজের এলাকা ছেড়ে পিছনে সরতে হবে। ফিঙ্গার ফোর থেকে সরে ফিঙ্গার ২য়ে চলে যেতে হবে ভারতীয় সেনাকে। কিন্তু কেন সরাতে হবে ভারতের সেনাবাহিনীকে। সূত্র: আনন্দবাজার, জি নিউজ

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে