ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইল-আমিরাত শান্তি চুক্তি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২০; সময়: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ |
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইল-আমিরাত শান্তি চুক্তি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বৃহস্পতিবারের এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দু’দেশর মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ আল নাহইয়ান জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশা এই ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক কূটনৈতিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। তিন নেতার দৃঢ় কূটনীতি ও সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলকে নতুন পথে হাঁটার সাহস যুগিয়েছে। যা আঞ্চলিক বিশাল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করবে।

রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, শান্তি চুক্তির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করছে ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় বেশ গতি পায়। শান্তি চুক্তিকে দীর্ঘদিনের ফসল বলে আখ্যা দিয়েছে ওয়াশিংটন।

এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, আজকের বিশাল সাফল্য। আমাদের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধ ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরবি আমিরাত ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বাতিলে একমত হয় ইসরাইল। দখলকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিপূর্ণ এলাকা ইসরাইলের ভূখণ্ডের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা করছিল তেল আবিব।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরাইল ও আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান চলাচল, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও দূতাবাস স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

এদিকে এই চুক্তি অনুসারে পশ্চিম তীরের দখল ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদাররা। যদিও ফিলিস্তিনের প্রতি কোন রকমের হুমকির নজির দেখায়নি আরব আমিরাত, তবু একটি আরব দেশ হয়ে ইসরায়েলি দখলদারদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করায় দুশ্চিন্তায় আছেন ফিলিস্তিনিরাও।

ফিলিস্তিন স্বাধীনতা সংগঠনের নির্বাহী কমিটির এক সদস্য আহমেদ মাজদালানি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন। এই চুক্তি আরব ঐক্যের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ফিলিস্তিনের জনগণ কাউকে যে কোনও কিছুর বিনিময়ে ইসরায়েলকে ছাড় দেওয়ার অনুমতি দেয়নি।’

১৯৪৮ সালে ইসরাইলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরাইল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

  • 8
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে