ভারতে আক্রান্ত ৭ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ২০ হাজার
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : একদিন আগে আক্রান্তে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষ তিনে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত। যেখানে প্রতিদিন বিশ হাজারের বেশি মানুষের দেহে মিলছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। এতে ভুক্তভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে, আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশ সুস্থ হলেও প্রাণহানি ২০ হাজার পেরিয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ২৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৬৭ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ১৬০ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখের অধিক
ভারতে প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এ রাজ্যে সংক্রমণ দুই লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ২০৬ জনের।
গত শনিবার এক লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনার শিহার হয়েছেন। এতে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৮ জনে ঠেকেছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৭১ জনের।
আর রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়ে গেল আজ। যেখানে এ পর্যন্ত করোনার শিকার ১ লাখ ৯৭৮ জন। কেজরিওয়ালের রাজ্যে প্রাণহানি ৩ হাজার ১১৫ জন।
বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে করোনার শিকার ৮৫ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৯৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭৯ জনের।
এছাড়া প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গা, কর্নাটক ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৮ জন ভুক্তভোগী। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬১ দশমিক ১৩ শতাংশ।