করোনার ভ্যাকসিন কতদূর জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২০; সময়: ১১:০২ অপরাহ্ণ |
করোনার ভ্যাকসিন কতদূর জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে, এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্ববাসী অপেক্ষায় আছে কবে নাগাদ এ প্রতিষেধক তৈরির সুখবর দিবে বিজ্ঞানীরা সেই আশায়।

এরই মধ্যে ডব্লিউএইচও বলছে, যত শিগগিরই সম্ভব করোনা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি সংস্থাটি।

তবে এই মুহূর্তে অক্সফোর্ডের কোভ্যাক্সকে (করোনা ভ্যাকসিন) গুরুত্ব দিতে চাইছে ডব্লিউএইচও। সব দেশের হাতে কোভ্যাক্স তুলে দেওয়াটাই তাদের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ১৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করাটাও সহজ নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।

এরই মধ্যেই বিশ্বে মোট ২০০টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। প্রতিটি ভ্যাকসিন এক এক পর্যায়ে রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫টি ভ্যাকসিনকে মানব দেহে ট্রায়ালও করা হয়েছে। সৌম্যা স্বামীনাথন আশা করছেন আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে এই করোনা ভ্যাকসিন।

ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, উচ্চ আয় এবং উচ্চ মধ্য আয়ের দেশগুলোতে কোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডোজের প্রয়োজন এবং তা যতদ্রুত সম্ভব। তিনি এও জানান, এই মুহূর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তৈরির সময়ের নিরিখে এগিয়ে আছে।

সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, তারা এরইমধ্যে অ্যাডভানস ফেজ-২ ট্রায়াল শেষ করেছে। অনেক দেশে ফেজ-৩-এর কাজ শুরু করার পরিকল্পনাও করেছে। মডার্নাও তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের ফেজ-৩ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি। এখন এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রোগীদের কতটা উন্নতি হচ্ছে এবং সুরক্ষা বজায় থাকছে কি না তা এখনও অজানা আমাদের কাছে। সূত্র- দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

  • 115
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে