করোনা উপসর্গ নিয়ে রামেক থেকে পালিয়েছে রোগী

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০; সময়: ১১:১৮ অপরাহ্ণ |
করোনা উপসর্গ নিয়ে রামেক থেকে পালিয়েছে রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কথা শুনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি একজন রোগী পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (মেডিসিন) থেকে ওই রোগী পালিয়ে যায়। জ¦র-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগি।

এদিকে বৃহস্পতিবার এই রোগীসহ মোট তিন জনের নমুনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা (কোভিড ১৯) টেস্ট ল্যাবে প্রেরণের কথা থাকলেও, ওয়ার্ড রোগী পালানোয় মোট দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এনিয়ে ল্যাবটিতে গত দুই দিনে মোট সাতটি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।

হাসপাতালটির একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানান, রোগীটি করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের কথা ছিলো। বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে করোনা ল্যাবের সংশ্লিষ্ট টিম তার নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ধারিত বেডে রোগীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানাযায় রোগীটি নিয়ম মতো ছাড়পত্র না নিয়েই বেড ছেড়ে পালিয়েছে।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। খোঁজ নিয়ে পরে জানান হবে।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগের করোনা ল্যাবে আরো দুইজনের নমুনা নিয়ে আনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি রাজশাহীর ও অপরটি বগুড়ার। বগুড়ার ওই কিশোর মারা গেছে। নমুনাগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মোট তিনজনের নমুনা সংগ্রহের কথা থাকলেও, রামেক হাসপাতলের ওয়ার্ডের এক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। আমদের টিম গিয়ে তাকে সেখানে পায়নি। এর আগে বুধবার সন্দেহভাজন পাঁচজনের নমুনা নিয়ে টেস্ট করার মাধ্যমে এই ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়। সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কারা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে তা প্রকাশ করা হবে।

প্রথমদিনে করোনা ল্যাবের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, এ ধরনের ভাইরাস নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাদের টিমের কারোরই ছিল না। তবে ৩০জনের এই টিমকে অনলাইনে ঢাকার অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিয়ানরা প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যখন নমুনা টেস্টের জন্য তাদের ল্যাবে যেতে বলা হয়, তখন অনেকেই ইতস্ততবোধ করছিলেন। কারণ, মানুষ হিসেবে চিকিৎসকদেরও সমান অনুভূতিই কাজ করছে। এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু পরে সবাই সাকসেসফুলি কাজ করেছেন। যা মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে একটি মাইলফলক ঘটনা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে