রাজশাহীতে ভাইরাস শনাক্তে ৩০ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২০; সময়: ৬:২৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ভাইরাস শনাক্তে ৩০ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষা কাজের জন্য ৩০ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আগামী বুধবার (১ এপ্রিল) থেকে ল্যাবে ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন রামেকের অধ্যক্ষ নওশের আলী। রোববার দুপুরে রামেক হাসপাতালের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নওশাদ আলী বলেন, ল্যাব তৈরীর কাজ চলছে। আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে ল্যাব প্রস্তুত হয়ে যাবে। ওই দিন থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাজ শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। চারজন টেকনিশিয়ান ল্যাব স্থাপনের কাজ করছে বলে জানান তিনি।

অধ্যক্ষ বলেন, এই ল্যাবে প্রতিদিন ৬ থকে ৭ জনের পরীক্ষা করা যাবে। আর পরীক্ষার প্রতিবেদন দিতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত। ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনেহারকে ল্যাবের প্রধান করে চিকিৎসক ও নার্সসহ ৩০ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। অনলাইনে তাদের প্রশিক্ষন চলছে। এছাড়াও ল্যাব স্থাপনের জন্য যারা আসছেন তারা হাতে কলমে এদের প্রশিক্ষন দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামিলুর রহমান, উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, ডা. আজিজুল হক আজাদ, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুল্লা সরকার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনা রোগিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই (পার্সনাল প্রটেকটিভ ইকুইমপেন্ট) সরবরাহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য অবজারভেশন টিম গঠন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা এই টিমের তত্ত্ববধানে থাকবেন ডা. আজিজুল হক আজাদ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বসে কর্মপন্থা গ্রহণ করবেন এবং সেই অনুসারে সম্মিলিত ভাবে কাজ হবে।

ডা. সাইফুল বলেন, ইমারজেন্সি ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে জ¦র-সর্দি-কাশি ও স্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পৃথক করা হচ্ছে। করোনা সিনটোম ছাড়া জ¦র-সর্দি-কাশি ও স্বাসকস্টের রোগী হলে তাদেরকে ৩৯ ও ৪০ ওয়ার্ডে সিফট করা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে।

বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ওয়ার্ড (৩০ নং ওয়ার্ড) ৩১ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ খালি করা হবে। টেস্টের পর করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেখানে সিফট করে অবজারভেশনে রাখা হবে। যদি কোন রোগীর অবস্থা সিরিয়াস হয় তবে আইসিইউতে নেয়া হবে। ধাপে ধাপে এসব প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে