দেশে আরও ৮ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫,২২২
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২২২ জন।
সারা দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৪টি ল্যাবে ২৯ হাজার ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার ২২২ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তসহ সারা দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়াল। এছাড়া, একদিনে করোনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৪৪ জনে দাঁড়াল।
রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৩ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় দেশে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় যুক্ত হওয়া ৮ জনের ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ জন ঢাকার, ৩ জন চট্টগ্রাম ও ১ জন সিলেট বিভাগের। এছাড়া বাকি বিভাগগুলোতে গেল ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এর আগে, গতকালের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়াল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে। এছাড়া গতকাল ৭ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আর গতকাল ২৯ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডমিটারের তথ্যানুযায়ী সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৯২১ জনে। আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৬ জনের। এছাড়া বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৪২ জনে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।