৬৯% পোশাকশ্রমিক নিতে চান করোনার টিকা

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২১; সময়: ১:৪৯ অপরাহ্ণ |
৬৯% পোশাকশ্রমিক নিতে চান করোনার টিকা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের প্রায় ৬৯ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন, সুযোগ থাকলে তাঁরা করোনার টিকা নিতে আগ্রহী। বাকি ৩১ শতাংশ শ্রমিক জানান, তাঁরা টিকা নিতে চান না। সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) এক যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে আসে।

সানেম গতকাল রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জরিপের ফলাফল জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের জীবনে করোনার প্রভাব সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে সানেম ও এমএফও গত বছর এপ্রিল থেকে এই ধারাবাহিক গবেষণা পরিচালনা করে। দেশের মূল পাঁচটি শিল্প এলাকা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও চট্টগ্রামের মোট ১ হাজার ২৮৫ জন পোশাককর্মী এতে অংশ নেন। এবারের জরিপে কোভিড-১৯-এর কারণে দেওয়া লকডাউন পরিস্থিতি এবং টিকা গ্রহণে শ্রমিকদের সচেতনতা বিষয়ে মতামত নেওয়া হয়।

গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ডায়েরিজ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত সানেম ও এমএফওর এই জরিপ থেকে আরও জানা যায়, এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ শ্রমিক করোনার টিকা পেয়েছেন, যদিও ৩৬ শতাংশ শ্রমিক টিকা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। জরিপে টিকা সম্পর্কে উত্তরদাতাদের মধ্যে ভীতি-অজ্ঞতা থাকার বিষয়ও উঠে আসে। এতে অংশ নেওয়া ৩৪ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা করোনার টিকা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব, ধর্মবিশ্বাস ও শারীরিক সমস্যার কারণে করোনার টিকা নিতে চান না বলে জানান। টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন মাত্র ২২ শতাংশ শ্রমিক।

কোভিডের টিকা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও জরিপে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান, আয়, খাদ্যনিরাপত্তা, মজুরি আধুনিকীকরণ ও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য নেওয়া হয়। তা থেকে জানা যায়, লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে কারখানা খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলেও সব কারখানা কর্মীদের যাতায়াতে পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। জরিপমতে, মাত্র ৪ শতাংশ শ্রমিক কারখানার পরিবহন ব্যবহার করেছেন। ৭৬ শতাংশ হেঁটে এবং অন্যরা রিকশা, অটোরিকশা, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান অবশ্য গত ৩১ মে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পোশাকশ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর আগের সভাপতি রুবানা হকও দায়িত্বে থাকার সময় গত বছর শ্রমিকদের টিকা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, সরকার টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছরের ওপরে নির্ধারণ করেছে, কিন্তু অধিকাংশ পোশাকশ্রমিকের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এ কারণে তাঁদের জন্য বয়সসীমা শিথিল করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে