কমিউনিটি ক্লিনিকে যাচ্ছে ১৪০ কোটি টাকার ওষুধ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২১; সময়: ৫:১৯ অপরাহ্ণ |
কমিউনিটি ক্লিনিকে যাচ্ছে ১৪০ কোটি টাকার ওষুধ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য প্রায় ১৪০ কোটি ব্যয়ে ২৭ প্রকার ওষুধ কিনছে সরকার। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষের (সিবিএইচসি) ওষুধ কেনার এমন একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানান, সিবিএইচসিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির কাছ থেকে মোট ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় ২৭ প্রকার ওষুধের ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টন সরাসরি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সারাদেশের ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এসব ওষুধ বিতরণ করা হবে। এদিন ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে মোট আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ছাড়া বাকিগুলো হচ্ছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি। এসব ক্রয় প্রস্তাব বাস্তবায়নে মোট দুই হাজার ২০৫ কোটি ১৭ লাখ ২৪১৫ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে এক হাজার ৮৮২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা দেওয়া হবে। বাকি টাকা এডিবি থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া কোম্পানি থেকে ২৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭১ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি ইউনিটের খরচ ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ০১ ডলার।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রস্তাবে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্সকে ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকায় এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ দেওয়া হয়। একই অধিদপ্তরের প্রস্তাবে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে কক্সবাজার থেকে উখিয়া (২৫ কিলোমিটার) সড়কের উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩৩৬০ বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

আরেক প্রস্তাবে উখিয়া থেকে উনচিপ্রাং পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৮ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১ এর নির্মাণ কাজ ৪৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৮ টাকায় সিআরইসি ও সিসিসিএল ঢাকা জয়েন্টভেঞ্চারকে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

একই প্রকল্পের ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের নির্মাণ কাজ ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকায় সিআরসিসি ও এমএএইচএল নামের একটি জয়েন্ট ভেঞ্চারকে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরে সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ‘উইড হারভেস্ট’ মেশিন কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই মেশিনের মডেল হবে বিইআরকেওয়াই ৬৯২৫ (জার্মানি)।

  • 114
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে