সাফল্য পেলো চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের টিকা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০; সময়: ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ |
সাফল্য পেলো চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের টিকা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কোভিড-১৯ টিকা তৈরির উদ্যোগ প্রতিযোগীতার রূপ নিয়েছে বিশ্বব্যাপী। তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম দুই ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশ করেছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক।

করোনাভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল চীনে। এখন সেই চীনেরই সিনোভ্যাকসহ চারটি প্রতিষ্ঠান টিকা তৈরির চেষ্টায় প্রথম সারিতে রয়েছে।

তৃতীয় বা শেষ ট্রায়ালের আগে এটি মধ্যবর্তী গবেষণা তথ্য-উপাত্ত। গত মঙ্গলবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের শীর্ষ সাময়িকী ল্যানসেটে এ সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়।

নিবন্ধের লেখক গবেষকরা জানান, প্রায় ৭শ’ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে টিকাটি প্রয়োগের পর তাদের দেহে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডের্নার সর্বশেষ ট্রায়ালে সফলতা আসার পর সাইনোভ্যাক নিজ সাফল্যের কথা জানালো। রাশিয়াও অবশ্য তাদের স্পুতনিক-ভি টিকার ৯০ শতাংশের বেশি সফলতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরা এ দাবির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে দৃঢ় সন্দেহ পোষণ করছেন।

চীনা প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য অবশ্য কিছুটা সীমিত ছিল, মার্কিন টিকাগুলোর তুলনায়। তাছাড়া এটি সবশেষ পরীক্ষার ফলও নয়।

গবেষকরা জানান, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা রোগীর রক্তরসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে, তার চাইতে তাদের টিকা কম অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। যদিও, কম পরিমাণে হলেও এসব অ্যান্টিবডি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সাফল্য হার সম্পর্কে জানানো হয়নি।

সেই তুলনায় ফাইজার ও মডের্নার টিকা দুটি স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল।

সেই হিসাবে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তৃতীয় বা শেষ ট্রায়ালে সিনোভ্যাকের টিকাটি আরও কার্যকর প্রমাণিত হবে; এমন সম্ভাবনার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে মধ্যবর্তী ফলাফল।

তবে অ্যান্টিবডি কম গড়ে ওঠার দিকটি নিয়ে কিছু বিশেষজ্ঞ তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছেন।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ বিভাগের সহকারী ডিন থমাস ক্যাম্পবেল বলেন, ‘এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে, ফাইজার ও মডের্নার সঙ্গে তুলনা করলে সিনোভ্যাক টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির সীমাবদ্ধতা ফুটে ওঠে।’

তবে চীনা টিকাটি অনেক দ্রুত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সক্ষমতা তৈরি করতে সমর্থ হয়। এনিয়ে গত এপ্রিল এবং মে মাসে দুটি গবেষণা প্রকাশিত হয়, কিন্তু সেখানেও অবশ্য টিকার কার্যকারিতার হার উল্লেখ করা হয়নি।

ল্যানসেটে প্রকাশিত নিবন্ধের অন্যতম লেখক ঝু ফেংচাই জানান, ‘প্রথম ট্রায়ালে ১৪৪ জন অংশ নেন। দ্বিতীয় ট্রায়ালে ছিলেন ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবী। এই দুই পর্যায়ে সফলতা আসার অর্থ টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের উপযোগী।’

এর বাইরে চলমান তৃতীয় পর্যায়ের বড় আকারের ট্রায়াল নিয়ে কোনো তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি সিনোভ্যাক।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসি

  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে