আস্ট্রাজেনেকার ১০ কোটি ডোজ টিকা পাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২০; সময়: ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
আস্ট্রাজেনেকার ১০ কোটি ডোজ টিকা পাচ্ছে ভারত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ডিসেম্বর মাসেই কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচী শুরু করতে চায় ভারত। এই লক্ষ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা- সেরাম ইনস্টিটিউড আস্ট্রাজেনেকা’র আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের উৎপাদন গতি বাড়িয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই ১০ কোটি ডোজ বাজারে আনতে চায় পুনেভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশেও অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকাটি বিপণন ও উৎপাদনে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে স্থানীয় জায়ান্ট বেক্সিমকো ফার্মাস্যিউটিক্যালস।

সর্বশেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে কার্যকর সুরক্ষা বিবেচনায় উৎরে গেলে আস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের শত কোটি ডোজ উৎপাদনে কোম্পানিটির সঙ্গে মূল চুক্তি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউড। ডিসেম্বরে হয়তো নয়াদিল্লির ওষুধ প্রশাসন এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন সেরামের মুখ্য নির্বাহী আদর পুনেওয়াল্লা।

দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

এরপর বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রথমে উৎপাদিত টিকা ভারতের নিজস্ব চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হবে। তারপর আগামী বছর নাগাদ পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পাওয়া মাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কোভাক্স জোট এবং ভারতের জন্য যথাক্রমে ৫০:৫০ শতাংশ হারে উৎপাদিত টিকা বণ্টন শুরু হবে। দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশে বণ্টনের জন্য নিজ তহবিল থেকে এসব টিকা কিনবে হু।

সেরাম মোট পাঁচটি বিদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির গবেষণাধীন টিকা উৎপাদনে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটির ৪ কোটি ডোজ উৎপাদন করেছে গত দুই মাসে। নোভাভ্যাক্স ইঙ্কের প্রার্থী টিকাও তারা খুব শিগগির উৎপাদন শুরু করবে।

”ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই এ উৎপাদন আর্থিক দিক থেকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবে অ্যাস্ট্রেজেনেকা এবং নোভাভ্যাক্স দুই কোম্পানির প্রার্থী টিকাই অনেক সম্ভাবনাময়, একারণেই আমরা সফলতার ব্যাপারে আশা রাখছি,” পুনেওয়াল্লা বলেন।

মহামারি অবসানে বিশ্বব্যাপী যেসব টিকা উৎপাদনের কাজ চলছে, তার মধ্যে এ দুটি টিকা অনেক এগিয়ে আছে। দ্রুত উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এদের উপর তার আস্থা থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন ৩৯ বছরের এই ব্যবসায়ী।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখ্য নির্বাহী প্যাসকেল সোরিওট জানান, ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে জরুরি অনুমোদন পাওয়া গেলে তিনি বড় আকারের টিকাদান কর্মসূচির সম্ভাবনা দেখছেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যও ভারতীয় সহযোগী সেরামকে দেবে কোম্পানিটি, যা তারা স্থানীয় নিয়ামক সংস্থার কাছে জমা দেবে।

এদিকে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও ভারতের মতো বিশাল দেশে তা সব জায়গায় পৌঁছানো বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। ১৩০ কোটির বিশাল জনগোষ্ঠীকেও টিকাদানের আওতায় আনতে হবে। আর বিশ্বব্যাপী টিকাদান সফল করাটাও অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজ।

পুনেওয়াল্লা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পুরো বিশ্বকে টিকার আওতায় আনতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে। আর নুন্যতম দুই বছর লাগবে বৈশ্বিক সংক্রমণ হার প্রকৃত অর্থে কমাতে। টিকা ক্রয়ের সক্ষমতা এবং উৎপাদনের জটিলতার কারণেই এমনটা হওয়ার কথা জানান তিনি।

  • 18
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে