ভ্যাকসিন ঠিক কবে পাওয়া যাবে?

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২০; সময়: ২:১৬ অপরাহ্ণ |
ভ্যাকসিন ঠিক কবে পাওয়া যাবে?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার সোমবার জানিয়েছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে সাফল্য পেয়েছে এবং কভিড-১৯ প্রতিরোধে এটা ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। যদিও তাদের ট্রায়াল এখনো শেষ হয়নি এবং তারা আরো বিশদ উপাত্তের জন্য ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজনেস ইনসাইডারের অ্যান্ড্রু ডান জানিয়েছেন, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে একেবারে নতুন একটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে কখনো এমন সাফল্য অর্জন করা যায়নি। তবে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা আর সেটা বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো দুটি ভিন্ন বিষয়।

ফাইজার পরবর্তী কার্যক্রমে এগোনোর আগে আরো বিস্তারিত উপাত্ত সংগ্রহ করতে চায়। তাদের ভাষ্যমতে, নভেম্বরের মাঝামাঝি তাদের হাতে আরো উপাত্ত উপলব্ধ হবে। এর অর্থ হলো চলতি মাসেই ফাইজারের চূড়ান্ত ট্রায়ালের বিস্তারিত ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

এরপর সেই উপাত্ত মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনে (এফডিএ) জমা দিয়ে জরুরি অনুমোদন চাওয়া হবে। এফডিএ সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা করতে এফডিএ কত সময় নেবে এখনো তা স্পষ্ট নয়। তবে আগে থেকেই সংস্থাটি বলে আসছে, তারা অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চায়। যদিও প্রথম অনুমোদন কেবল স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, বয়স্ক ও অন্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য দেয়া হতে পারে।

আগে থেকেই উৎপাদন শুরু করায় ফাইজার জানিয়েছিল, এ বছরই কিছু ডোজ সরবরাহ করা যেতে পারে। যদিও পুরো বিশ্বের জন্য সেটা কেবল পাঁচ কোটি ডোজ। আর প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য দুটি ডোজ প্রয়োজন হওয়ায় সেটা কেবল আড়াই কোটি মানুষের জন্য উপলব্ধ হবে। তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে তিন সপ্তাহের ব্যবধান থাকবে।

২০২১ সালে ভ্যাকসিনটির সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা যাবে। তবে আগামী বছর ভ্যাকসিনটি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন মানুষদেরও দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে এরই মধ্যে ফাইজারের থেকে ভ্যাকসিন কিনে রাখা দেশগুলো ভ্যাকসিনটি পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরো কয়েকটি দেশ ফাইজারের ভ্যাকসিন নেয়ার চুক্তি করেছে।

আর এ ভ্যাকসিনটি অতি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় স্থানান্তরিত করতে হবে। ভ্যাকসিনের ডোজগুলো স্থানান্তরিত করতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম তামপাত্রার প্রয়োজন হবে। সুতরাং কিছু জায়গায় ভ্যাকসিনটি দ্রুত পৌঁছানো কঠিন হতে পারে। এছাড়া কাচের বোতলের সংকটও ভ্যাকসিন উৎপাদন ও স্থানান্তরকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোভ্যাক, নভোভ্যাক্সসহ আরো কয়েকটি সংস্থা তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল পরিচালনা করছে। খুব দ্রুতই এ ভ্যাকসিনগুলোর ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • 9
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে