চীন ও ভারতে করোনার পাশাপাশি আরেক ভয়ানক ভাইরাস ‘ক্যাট কে’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০; সময়: ১:১৮ অপরাহ্ণ |
চীন ও ভারতে করোনার পাশাপাশি আরেক ভয়ানক ভাইরাস ‘ক্যাট কে’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  কোভিড মহামারির মধ্যেই চীন ও ভারতে আরেক মারাত্মক জীবাণু নিয়ে শংকায় আছেন দু’দেশের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই ভাইরাসের নাম CQV বা ক্যাট কে ভাইরাস।

আর্থ্রোপোডা পর্বের সন্ধিপদ বিশিষ্ট প্রাণী (যেমন- মশা) থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার লক্ষণগুলো হলো- জ্বর, মেনেঞ্জাইটিস ও শিশুদের এনসেফেলাইটিস। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই চীন ও ভিয়েতনামে কিউলেক্স মশা ও শুকরের মাধ্যমেই CQV ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এদিকে ভারতে ওই প্রজাতির কিউলেক্স মশার উপস্থিতি দেখে আগাম সতর্কতা জারি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। পুনের এই প্রতিষ্ঠান ভারতজুড়ে করা সমীক্ষায় ৮৮৩টি মানব শরীর থেকে সংগৃহীত সিরাম নমুনার মধ্যে দুটিতে CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়েছে। এর থেকে বোঝা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি কোনও সময়ে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে ওই দুটি বাদে অন্য কোনও নমুনা বিশ্লেষণ করে মানব বা পশুর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।

২০১৪ ও ২০১৭ সালে কর্নাটক থেকে সংগ্রহ করা ওই দুই নমুনায় CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও বেশ কিছু পরিমাণে মানুষ ও শুয়োরের সিরাম নমুনা পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করছেন আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এ (আইজেএমআর) প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় মশা প্রজাতি এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। পাখির শরীরেও তার উপস্থিতি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

অন্যদিকে, চীনে পালিত শুকরের রক্তে CQV ভাইরাসের উপস্থিতি প্রায়ই দেখা গিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত যে, এই ভাইরাস স্থানীয় এলাকার মধ্যেই জীবন অতিবাহিত করে থাকে।

  • 21
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে