দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে করোনার ভ্যাকসিন নাও পৌঁছাতে পারে: বিল গেটস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০; সময়: ৩:০১ অপরাহ্ণ |
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে করোনার ভ্যাকসিন নাও পৌঁছাতে পারে: বিল গেটস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  ২০২১ সালের মধ্যেই করোনাভাইরাস ভাকসিন সহজলভ্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার বিল গেটস। তবে এই ভ্যাকসিন থেকে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিরাট অংশ বঞ্চিত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সম্প্রতি এক কনফারেন্স কলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে শুধু ধনী দেশগুলো এগিয়ে থাকবে এমনটা হওয়া উচিৎ নয়। ভ্যাকসিনের অসম বন্টনের ফলে মৃত্যুহার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও যুক্তরাজ্যের মতো ধনী দেশগুলো ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের ২ বিলিয়ন ডোজ প্রি-অর্ডার করেছে। ফলে প্রথম বছরেই দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবারাহের হার কমে যাবে।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক প্রকাশিত ‘দ্য গোলকিপারস রিপোর্ট’ থেকে দেখা যায়, ধনী দেশগুলো আগেই ভ্যাকসিনের ২ বিলিয়ন ডোজ কিনে নিলে মহামারিতে মৃতুহার বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে। নারী, জাতিগত ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর মহামারির প্রভাব বেশি পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।

“সব যুগেই মহামারির বৈষম্যকে আরও প্রকট করেছে। অর্থাভাবে দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর তুলনায় বেশি ফলভোগ করছে।”

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশগুলোর নিজ জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিন ডোজ কিনে রাখা উচিৎ নয় বিল গেটস এমন কিছু সরাসরি না বললেও বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সহজলভ্য করতে দেশটিকে আরও জোর দেয়ার আহবান জানান।

বিল গেটস ২০১৫ সাল থেকেই বৈশ্বিক মহামারির আশঙ্কা থেকে এব্যাপারে সতর্কবার্তা দেন। মহামারির প্রাদুর্ভাবের কয়েক মাস কেটে যাবার পরও মার্কিন সরকার পর্যাপ্ত টেস্টিং সুবিধার ব্যবস্থা করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বাণিজ্যিক ল্যাবে টেস্টিংয়ের দীর্ঘ সারি ও টেস্টের ফলাফল দিতে সপ্তাহের বেশি সময় লাগার ঘটনাকে দায়ী করেন।

জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৯.৪ মিলিয়ন মানুষের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে ও মৃত্যুবরণ করেছেন অন্তত ৯ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ।

  • 35
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে