যেভাবে নায়িকা শিমুকে হত্যা করা হয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২; সময়: ১১:০২ অপরাহ্ণ |
যেভাবে নায়িকা শিমুকে হত্যা করা হয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দুদিন নিখোঁজ থাকার পর চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সেই মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তে প্রমাণ মিলেছে রাইমা ইসলাম শিমুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে সলিমুল্লাহ মেডিকের কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহতের গলায় স্পষ্ট কালো দাগ রয়েছে।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রশি বা কোনো কিছু দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ভিসেরা (অভ্যন্তরীণ কিছু অঙ্গ) সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শিমুর মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদকে আটক করে। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার শাহাবুদ্দিন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর সারারাত মরদেহের সঙ্গেই থাকেন নোবেল। পরদিন সকালে বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে বাসায় ডাকেন।

তিনি বলেন, সকালে তারা ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে একটি বস্তায় করে মরদেহটি গাড়িতে রাখেন। এরপর মরদেহ ফেলার জায়গা খুঁজতে তারা সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে যান। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে বিকেলে আবার মরদেহ নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, ‘তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং কেরানীগঞ্জে মরদেহ ফেলে দেন।’

এদিকে, চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক এস এম ফরহাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিমুর। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রথম সারির পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শিমু। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা গেছে তাকে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং প্রযোজনাও করেছেন।

তার ফেসবুকের তথ্যনুযায়ী, একটি বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিপণন বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি একটি প্রডাকশন হাউজও চালাতেন এই অভিনেত্রী। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন শিমু; ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্যপদ হারানোয় সমিতির ভোটাধিকার হারান এ অভিনয়শিল্পী।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে