চুমুতে আপত্তি থাকায় শুনতে হয়েছিলো ‘তুমি মজা করতে পারো না’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০; সময়: ১২:২১ অপরাহ্ণ |
খবর > বিনোদন
চুমুতে আপত্তি থাকায় শুনতে হয়েছিলো ‘তুমি মজা করতে পারো না’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বলিউডে বহুবার বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গ। এক সময় বলিউডে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার প্রথম দিকে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয় তার। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে কাস্টিং কাউচ সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন সমীরা। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সমীরা বলেন, আমি ছবিটিতে অভিনয় করছিলাম এবং হঠাৎ আমাকে বলা হল যে একটি চুম্বনের দৃশ্য যোগ করা হয়েছে। প্রথমে এই দৃশ্যটি ছিল না। তাই পরে দৃশ্যটি যোগ করার আমার অসুবিধা হয়েছিল।

ছবির নির্মাতারা তখন আমাকে বোঝানোর জন্য বলেছিলেন, তুমি তো মুসাফির ছবিতেও এটা করেছ। আমি বলেছিলাম, তার মানে এটা নয় যে, আমি সব ছবিতেই করব। এরপরে সে নির্মাতা আমায় বলেছিলেন বিষয়টি দেখো এবং মনে রেখো তুমি কিন্তু ছবি থেকে বাদ পড়তে পারো।

আরো একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন তিনি। এক পুরুষ অভিনেতা সমীরাকে একঘেঁয়ে এবং অমিশুক বলে ডেকেছিলেন। সমীরা বলছেন, একজন অভিনেতা আমায় বলেছিলেন, তুমি খুব অমিশুক। তুমি মজা করতে পারো না। আমি জানিনা তোমার সঙ্গে আগামীতে আর কোনো ছবিতে অভিনয় করব কিনা।

এরপরে আমি আর তার সঙ্গে কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি। পুরো খেলাটাই সাপলুডুর মতো। তাই একজনকে জানতে হবে যে সাপেদের চারপাশ দিয়ে ঘুরে বেরিয়ে নিজের রাস্তা কি করে তৈরি করতে হয়। শুটিং হয়ে গেলে আমি কখনোই আমার সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে পার্টি করতাম না। বা বেড়াতেও যেতাম না। তার চেয়ে বরং আমি বাড়ি ফিরে টিভি দেখতাম। আমি সেভাবে কখনই মানুষের সঙ্গে মিশিনি। জানি এই গুলি ছবিতে কাজ পেতে অনেকটাই সাহায্য করে। আমার এই নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এই ইন্ড্রাস্ট্রি এভাবেই চলে।

সমীরা আরো একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, চেহারার জন্য তাকে বলিউডে বহু কথা শুনতে হয়েছে। বলিউডের টিকে থাকার তিনি চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।

তিনি বলেছেন, আমায় বলা হয়েছিল আমার গায়ের রং খুব চাপা। আমি খুব বেশি লম্বা আর আমার চেহারা বড়। পাশের বাড়ির মেয়ের চেহারার সঙ্গে আমার কোনো সাদৃশ্য নেই। আমি অনবরত চেষ্টা করে গেছি মানিয়ে নেয়ার। সত্যিই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।

তবে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। সেখান থেকেও আমি অনেক কিছু শিখেছি। সর্বোপরি কোন শর্ত ছাড়া আমি নিজেকে ভালবাসতে শিখেছি। জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন নিজের ওপর ঘৃনা হয়। তারপরে নিজের প্রত্যেকটা টুকরোকে আবার জোড়া লাগিয়ে নতুনভাবে ভালবাসতে জানতে হয়।

চেহারা নিয়ে সমালোচনার বিষয় সমীরা বলছেন, এটা কোনো ভেদাভেদ নাই। একটি বিশেষ ধরন অনুযায়ী আপনার চেহারা হতে হবে। চেহারাকে অন্যভাবে তৈরি করতে হবে। আমাকেও করতে হয়েছে।

  • 6
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে