রিয়াকে টেনে বাঙালি মেয়েদের ‘অপমান’! প্রতিবাদ করলেন নুসরাত

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২০; সময়: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ |
খবর > বিনোদন
রিয়াকে টেনে বাঙালি মেয়েদের ‘অপমান’! প্রতিবাদ করলেন নুসরাত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে বাঙালি মেয়ে রিয়া চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ, ঠিক সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু এক অন্য বিতর্ক। রাতারাতি ‘ভিলেন’ হলো বাঙালি মেয়েরা। উড়ে আসছে ট্রোল, ঘুরে বেড়াচ্ছে মিম।

বাঙালি মেয়ে মানেই ‘কালাজাদুতে সিদ্ধহস্ত’, ‘পয়সার কাঙাল’ ইত্যাদি মন্তব্যে ভরে উঠেছে ফেসবুকের দেয়াল। যদিও এই সব মন্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন দুই বাঙালি অভিনেত্রী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং নুসরত জাহান।

ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। সুশান্তের দিদি মিতু সিং অভিযোগ আনেন, তার ভাইয়ের উপর কালাজাদু করতেন রিয়া। মিতুর বন্ধু স্মিতা পারিখও এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রিয়া আমায় জানিয়েছিল ওর প্রিয় বন্ধু বেশ কয়েক বছর আগে মারা যায়। কিন্তু সেই বন্ধুর আত্মা নাকি সবসময় রিয়ার সঙ্গেই থাকত। বিভিন্ন বিপদে রিয়াকে রক্ষা করত। এমনকি রিয়ার কেউ অনিষ্ট চাইলে তাকে শেষ করে দিত রিয়ার বন্ধুর সেই অতৃপ্ত আত্মা।

এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে নেটাগরিকদের এক অংশ লিখতে শুরু করেন, হ্যাঁ, আমি শুনেছিলাম। কীভাবে কালাজাদু চর্চা করতে হয় তা অনেক দিন ধরেই বাঙালি নিয়মিত প্র্যাকটিস করে আসছে।

এর পরেই বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ এর বিরোধিতা করলে চুপ করে থাকতে পারেননি অভিনেত্রী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান। তিনি লেখেন, আমরা বাঙালি মেয়েরা রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব জয় করতে পারি। শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য একটা গোটা সম্প্রদায়কে অপমান করবেন না। আমি নিশ্চিত মাছ-মশলা-মিষ্টি সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানেন না আপনি।

রিয়ার ব্যাপারে নুসরতের বক্তব্য, যা কিছু আইনবিরুদ্ধ, মানবতা বিরুদ্ধ তাতে আমার সমর্থন নেই। আমি নিশ্চিত পুলিশ তাদের কাজ করছে। আশা করছি সত্য খুব শীঘ্রই সামনে আসবে। কিন্তু তাই বলে কেউ আমাদের সংস্কৃতিকে অসম্মান করবে তা আমি একেবারেই বরদাস্ত করব না।

দু-একটি বিরূপ মন্তব্য এলেও নুসরাতের কমেন্ট বক্সে একসঙ্গে গলা মিলিয়েছেন সবাই। এক জন লিখেছেন, রিয়া আদপে দোষী কিনা, তা এখনো প্রমাণ হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি ও ভুল করেও থাকে, দোষী হয়েও থাকে, আইন রয়েছে, বিচার ব্যবস্থা রয়েছে… তাই বলে একটা গোটা সম্প্রদায়কে এভাবে অপমান করা ঠিক নয়? আমার স্ত্রী বাঙালি। ও আমার জীবনে না থাকলে আমার কী হত আমি জানি না।

আর এক জনের বক্তব্য, আপনারাই বিভাজন সৃষ্টি করেন। আপনাদের জন্যই ঐক্যে আঘাত পড়ে। সংহতি নষ্ট হয়। ভুলে যাবেন না, জাতীয় সঙ্গীত কিন্তু বাংলা ভাষাতেই লেখা হয়েছে।

  • 18
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে