রাজশাহীতে নৌকা নিয়ে তৃতীয় স্থানে সেই পৌর মেয়রের শাশুড়ি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১; সময়: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে নৌকা নিয়ে তৃতীয় স্থানে সেই পৌর মেয়রের শাশুড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। পবা উপজেলার পারিলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করা ফাহিমা বেগমের অভিযোগ, স্থানীয় দলের নেতাকর্মীরাই নৌকা ডুবিয়েছেন।

তবে নেতাকর্মীদের দাবি, ভোটের আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার জামাতা কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিতর্কিত মন্তব্যই কাল হয়েছে ফাহিমার। তার জামাতা মেয়র আব্বাস সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ও রাসিক মেয়রকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এর পর তিনি দল থেকে বহিস্কার এবং তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এ কারণে দলের লোকজন ফাহিমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ফাহিমা বেগম রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। গত নির্বাচনেও তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে দলীয় নেতাদের সমর্থন না পেয়ে তিনি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কাছে হেরে যান।

পারিলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ আলী ১২ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আরেক বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল বারী পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৩ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফাহিমা বেগম ৪ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী রাজু হোসেন হয়েছেন চতুর্থ।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাঈদ আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ফাহিমা বেগম অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলীই কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ আলীর হয়ে। প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরাও সোহরাবের কথা শুনছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলে তারা বিদ্রোহীর প্রার্থীর হয়ে মাঠে নামতে পারতেন না।

ফাহিমা বেগম বলেন, যত মানুষ তার বাসায় এসে নৌকার জন্য কাঁদছেন, তারা নিশ্চয় ভোট দিয়েছেন। ভোট না দিলে তারা এভাবে কাঁদতেন না। তাদের ভোটের অসম্মান করা হয়েছে। তার ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। মানুষ ভোট দিয়েছেন, সেই ভোট চলে গেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে।

নিজের পরাজয়ের জন্য স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিনকে দায়ি করে ফাহিমা বলেন, তিনি নৌকাকে অপমান করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অসম্মান করেছেন। তিনি এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মীদের অপমান করেছেন। এ রকমভাবে অপমান করতে থাকলে আগামী দিনে আওয়ামী লীগের দুর্গ বিএনপির হয়ে যাবে। এ জন্য তিনি স্থানীয় সাংসদের বিচার চান। সাংসদ বসে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীকে পার করার ব্যবস্থা করেছেন।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় পারিলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের ১১ জন নেতা-কর্মীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার পরেও নেতা-কর্মীরা শোনেনি। তিনি দুবার বর্ধিত সভা করে বুঝিয়েছেন। এরপরেও না হলে তার কী করার আছে। শুধু আবেগে কথা বললে হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে