কাকনহাট পৌর নির্বাচনে ফ্যাক্টর আদিবাসী ভোটার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২১; সময়: ১:০১ অপরাহ্ণ |
কাকনহাট পৌর নির্বাচনে ফ্যাক্টর আদিবাসী ভোটার

মুক্তার হোসেন, গোদাগাড়ী : আগামীকাল ১৬ জানুয়ারী (শনিবার) দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাকনহাট পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, ৯ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বীনতা করছে।

মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের একেএম আতাউর রহমান খান (নৌকা), বিএনপির হাফিজুর রহমান (ধানের শীষ), রুবন হোসেন (লাঙ্গল)।

বরেন্দ্র জনপদের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার ১৩ হাজার ২৩২ ভোটারের মন জয় করতে প্রার্থীরা ব্যাপক উন্নয়ন ও নাগরিকদের সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মাইকিং, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার, লিফলেটের মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে প্রার্থীরা।

তবে এবারের পৌর নির্বাচন নিয়ে ভোটাদের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত কাকনহাট পৌরসভায় মেয়র পদে আছেন আব্দুল মজিদ মাস্টার। ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত আব্দুল মজিদ মাস্টার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে যান। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা একেএম আতাউর রহমান খান ভোটারদের কাছে ক্লিনম্যাান হিসাবে পরিচিত থাকায় নৌকা প্রতিক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

কাকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন, কাকনহাট পৌরসভায় ভোটারদের মধ্যে একটি অংশ আদিবাসী ভোটার। আর কাকনহাট পৌরসভায় আদিবাসী ভোটাররাই বড় ফ্যাক্টর হওয়ায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়। আদিবাসীরা সমাবেশ করে নৌকা প্রতিককে সমার্থন জানার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান মেয়র নির্বাচিত হবে।

নৌকার প্রার্থী আতাউর রহমান খান বলেন, সারাজীবন মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতি করেছি। মেয়র নির্বাচিত হলে কাকনহাট পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা গড়ে তুলবো।

২০১৫ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত বিএনপির প্রার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নিরপক্ষ ভোট হলে এবার ধানের শীষ প্রতিকের জয় নিশ্চিত হবে।

কাকনহাট পৌর নির্বাচনে প্রথম বারের মত মেয়র পদে জাতীয় পাটির রুবন হোসেন অংশ গ্রহন করছে। তিনি লাঙ্গল প্রতিকের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

স্থানীয় নির্বাচন পর্যপেক্ষকরা বলছে কাকনহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মূলত লড়াই হবে।

এদিকে কাকনহাট পৌর নির্বাচনেকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহন করায় শান্তিপুর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মসিউর রহমান বলেন, ১৬ জানুয়ারী বোট গ্রহনের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটেরে নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। সকল প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচন করতেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

  • 150
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে