এডিপিতে সরকারি বরাদ্দের ৮৫ ভাগ ব্যয় করা যাবে

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১; সময়: ১:৩৯ অপরাহ্ণ |
এডিপিতে সরকারি বরাদ্দের ৮৫ ভাগ ব্যয় করা যাবে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি থেকে কিছুটা সরে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয়গুলো সংশোধিত বাজেটে অনুমোদিত প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি বরাদ্দের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে। গতকাল অর্থবিভাগের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয়ের অনুমোদন ছিলো।

অর্থবিভাগ বলেছে, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের সরকারি অংশের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। এই ব্যয়ের অর্থ ছাড়ের জন্য অর্থ বিভাগ, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। তবে ৮৫ শতাংশের বেশি ব্যয়ের কোনো বিল গ্রহণ না করার জন্য হিসাব মহানিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সাধারণত এপ্রিল মাসে সরকারি বরাদ্দের ব্যয় কতোটা হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। করোনার কারণে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকায় এবছর এক মাস আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক মাস বেশি সময় পাওয়ায় বাস্তবায়নের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা যাবে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে এডিপির বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যয় করেছে মন্ত্রণালয়গুলো।

তিনি বলেন, প্রকল্প সহায়তা কম পাওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এডিপি যতটুকু কমানো হয়েছে, তার পুরোটাই প্রকল্প সহায়তার অংশ থেকে। সরকারি অংশের বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আরেকটু উন্নতি হলে এক বা দেড় মাস পরে সরকারি অংশের ১০০ ভাগ অর্থ ব্যয়ের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হতে পারে এমন আশংকা ছিলো অর্থবছরের শুরুতে। এছাড়া করোনার টিকা কেনাসহ মহামারী মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যয় নিশ্চিত করা, জরুরি পরিস্থিতি সামলানোসহ বিভিন্ন প্রেক্ষিতে সরকার ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে এডিপির প্রকল্পগুলোকে উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন অগ্রাধিকারে ভাগ করে নিম্ন অগ্রাধিকারের প্রকল্পে অর্থ ছাড় স্থগিত রাখে অর্থ বিভাগ।

এছাড়া গাড়ি কেনা, বিদেশ ভ্রমণসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপিতে থাকা তাদের প্রকল্প নিম্ন অগ্রাধিকার থেকে মধ্যম বা উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় নেওয়ার অনুরোধ করে চিঠি দেয়। এমনকি সংসদ সদস্যরাও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাছে এ ধরনের অনুরোধ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে