বাংলাদেশে ৬ বিলিয়ন ডলারের ওষুধশিল্প বাজার
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার হবে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ডাবলিন-ভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণ সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেট ফিউচার অপারচিউনিটি আউটলুক ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওষুধের বাজার চমৎকার প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১২ শতাংশের ওপরে থাকবে।’
প্রতিবেদন মতে, বিগত বছরের মতো এই প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে ৯০ শতাংশ দেশীয় প্রতিষ্ঠান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজারে প্রাপ্ত ৯০ শতাংশ ওষুধই স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন করছে।
আইএমএস হেলথ কেয়ার প্রতিবেদন মতে, এই খাতে বিনিয়োগকারীরা বলছেন— ২০১৯ সালে স্থানীয় বাজারের আকার ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা বা তিন বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১২ সালে ছিল ৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ও ২০১৭ সালে ছিল ১৮ হাজার ৭৫৫ টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রযুক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ওধুষ বিশ্ববাজারে প্রশংসা অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে এই খাতটি অবদান রেখেছে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিআইডিএ) বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের ওষুধশিল্প ব্যাপক সম্ভাবনাময়। বিদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশিরা বছরে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকেন। যা দেশের জিডিপির ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নয়ন ও উদ্ভাবনীর কারণে বিদেশিরা এ দেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ সরকার অনুকূল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ওষুধশিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আইরিশ সংস্থাটি মনে করে।
দেশের ২৫০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা দিনে দিনে বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিস্তৃতি বাড়াচ্ছে। গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। এসব কারণে এই খাতটি বিকশিত হচ্ছে।’
10