বাহরাইনে ভোগ্যপণ্য রফতানি করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২০; সময়: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ |
বাহরাইনে ভোগ্যপণ্য রফতানি করতে চায় বাংলাদেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন বেশিরভাগ পণ্য আমদানি করে চীন, ভারত, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে, কিন্তু কোভিডের কারণে বেইজিং ও দিল্লি থেকে আমদানি কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে এবং এর সুযোগ নিতে চায় বাংলাদেশ।

বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি রিটেইলার ও সুপার মার্কেট যেমন—লুলু হাইপার মার্কেট বা কারেফোর এখানকার বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশের পণ্য তাদের কাছে উপস্থাপন করা হলে তারা এগুলো কিনতে আগ্রহী হবে।’

বাহরাইনে কৃষিজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ অন্যান্য জিনিসের চাহিদা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে মিশনের মাধ্যমে লুলু হাইপার মার্কেটের সঙ্গে বাংলাদেশের ১২টি বড় কোম্পানির বৈঠক করিয়ে দিয়েছি, যাতে করে বাহরাইনে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পায়।’

শাইনপুকুর সিরামিকস, প্রাণ, হাতিল, হামিম গার্মেন্টস-সহ মোট ১২টি কোম্পানির প্রাথমিক পরিচিতি ভালো হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যারা আমদানি করবে এবং যারা রফতানি করবে তাদের মধ্যে ম্যাচমেকার হিসাবে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে।’

এছাড়া বাংলাদেশের এফবিসিসিআই ও বাহরাইন চেম্বার অব কমার্সের মধ্যেও একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেখানে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

বাংলাদেশের বাহরাইনে বিনিয়োগ আকর্ষণের সম্ভাবনা কতটুকু জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্পর্কে বাহরাইনের বিনিয়োগকারীরা তেমন ওয়াকিবহাল নয়। এখানকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশিদের পেশাজীবী মানুষ হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত।’ তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা সরাসরি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করছি, রোড শো ও সেমিনার করছি এবং বিভিন্ন পেপারে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছি।’

অভিবাসন অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই রষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাহরাইন উপসাগর অঞ্চলের একটি ছোট দেশ। কোভিডের কারণে এখানকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে অবৈধভাবে অবস্থানরত শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং এর সুবিধা নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি।’

অদূর ভবিষ্যতে বাহরাইনে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ কম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ শ্রমিক তৈরির ওপর জোর দিতে হবে। যদি বাংলাদেশ থেকে নতুন দক্ষ শ্রমিক না পাঠানো যায়, তবে এখানেই বাংলাদেশিদের আরও দক্ষ করতে হবে।’

বাহরাইনের অর্থনীতি সামনের বছর আবার ঘুরে দাঁড়াবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সময়ে তাদের কিছু খাতে দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হবে এবং এই সুযোগ নেওয়ার জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে শ্রমিকদের।’

এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাহরাইনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।’

  • 11
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে