করোনার মধ্যেও বিশ্বজুড়ে ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২০; সময়: ৭:০৭ অপরাহ্ণ |
করোনার মধ্যেও বিশ্বজুড়ে ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সারাবিশ্ব থমকে আছে মহামারি করোনার কবলে। স্কুল-কলেজের পড়াশোনা অনলাইনে চললেও ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে আছে। অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আছে বেশ নাজুক অবস্থায় আছে। কিন্তু তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মতো করে ধনীদের কোঁচড়ে কিন্তু সম্পদের পাহাড় জমছেই। করোনাকালীন বিশ্বের সেরা ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার!

এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে যেখানে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ চাকরি বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন, ঠিক সে সময়েই ধনীদের ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ২৭.৫ শতাংশ, এক-চতুর্থাংশেরও বেশি। সম্প্রতি সুইস ব্যাংক ইউবিএস এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে।

ইউবিএস এর গ্লোবাল ফ্যামিলি অফিস বিভাগের প্রধান জোসেফ স্ট্যাডলার সেরা ধনীদের বিষয় নিয়ে কাজ করেন, সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ধনীরা লাভ করতে পেরেছেন কারণ পড়তি শেয়ার বাজারে গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনার মতো সামর্থ্য তাদের আছে। আর এরপর থেকেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিশ্ব শেয়ার বাজার।

এদিকে অধিকাংশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা ধনীদের, ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে।

পড়তি বাজারে বিনিয়োগ করতে একধরণের রোমাঞ্চ কাজ করে এই ধনীদের মাঝে বলে জানান স্ট্যাডলার। এটা তাদের জন্য অনেকটা অসহায় মানুষকে বাঁচাতে নায়কের অনুভূতির মতো বা কোন অ্যাডেভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করার মতো বলে মনে করেন তিনি।

তবে যেখানে বিশ্বজুড়ে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার এত দুরবস্থা, সেখানে ধনীদের এমন সম্পদবৃদ্ধি কি মানুষ মেনে নেবে? স্ট্যাডলার জানান, ‘না, সাধারণ মানুষের মাঝে এটা বিদ্বেষ তৈরি করবে। আর এই ব্যাপারটা সম্পর্কে ধনীরা খুব ভালো করেই জানেন। আর ধনী-দরিদ্রের মাঝে এই যে বিপুল বৈষম্য তা নিয়ে সুবিধাবঞ্চিতরা ফুঁসে উঠতে পারে বলে মনে করেন স্ট্যাডলার।

ধনীদের তালিকায় শীর্ষে থাকা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ২৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যথাক্রমে বিল গেটসের বেড়েছে ১১.৯ বিলিয়ন, বারনার্ড আরনুল্ট-এর বেড়েছে ১২.৮ বিলিয়ন, মার্ক জাকারবার্গের ৩১.৪ বিলিয়ন, ওয়ারেন বাফেটের ৬ বিলিয়ন, ল্যারি এলিসনের ১০.৪ বিলিয়ন, স্টিভ বালমোরের ১৪ বিলিয়ন, ল্যারি পেজের ১৪.২ বিলিয়ন, সার্গেই ব্রিনের ১৩.৭ বিলিয়ন, আমানসিও ওরতেগা-এর ৫.২ বিলিয়ন, জিম ওয়ালটনের ৩.৬ বিলিয়ন, অ্যালিস ওয়ালটনের ৩.৬ বিলিয়ন, রব ওয়ালটনের ৩.৬ বিলিয়ন, ফ্রান্সয়েস বিটেনকোর্ট মায়েরসের ৬.৪ বিলিয়ন, মুকেশ আম্বানির ১৯.৯ বিলিয়ন, কার্লোস স্লিম হেলু-এর ৪.২ বিলিয়ন, ম্যাকেনজি বেজোস-এর ১০.৪ বিলিয়ন, মা হুয়াতাং-এর ৬.৮ বিলিয়ন, জ্যাক মা-এর ৩ বিলিয়ন, ফিল নাইট-এর ৯.৯ বিলিয়ন, এলন মাস্ক-এর ৯.৫ বিলিয়ন, কলিন ঝেং হুয়াং-এর ১৭.৯ বিলিয়ন, ফ্রান্সয়েস পিনাল্ট-এর ২.১ বিলিয়ন, শেলডন অ্যাডেলসন-এর ১.৪ বিলিয়ন এবং মাইকেল ডেল-এর ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

  • 10
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে