কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: মে ২২, ২০২২; সময়: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ |
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামে ১২বছর পূর্বের শহিদুল ইসলাম নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে অপহরণ, হত্যাসহ লাশ গুমের ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থ দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার দহকুল নওয়াপাড়া গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মেম্বর, একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে মো: চান্নু এবং মজিবর রহমানের ছেলে বক্কার ওরফে বক্কর। সেই সাথে এই মামলার চার্জশীট ভুক্ত অপর তিন আসামী মাহাতার বিশ্বাস, শওকত বিশ্বাস এবং মো: সেলিমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বে-কসুর খালাস দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন সদর উপজেলার দহকুল নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইনতাজ আলীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪২)কে বাড়ি থেকে জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে শহিদুলকে আর কোথাও খুঁজে সন্ধান পায়না পরিবার। ঘটনার ৪বছর পর ২০১০সালে ১৯মার্চ তারিখে দহকুলা গ্রামের জনৈক মসলেম উদ্দিনের পানবরজ সংলগ্ন পরিত্যাক্ত কুয়ার মধ্য হতে মৃতদেহের হার হাড্ডি ও পরিধেয় কাপড়সহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে নিহত শহিদুলের পরিবার উদ্ধারকৃত কাপড় চোপড় দেখে শহিদুলের লাশ বলে সনাক্ত করেন। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা: মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ৯জনের নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া সদর থানার অপহরণ হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ০৭মে দন্ডপ্রাপ্ত ৩ষআসামীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তৎকালীন কুষ্টিয়া সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে রায় ঘোষনার দিন পলাতক হওয়া ৩আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজা দন্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সেই সাথে চার্জশীটভুক্ত অপর ৩জন আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বে-কসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে