কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২; সময়: ৯:৩০ অপরাহ্ণ |
কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।

রিটকারী আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেসব বক্তব্য পাওয়া গেছে, তা অনেকটা সাংঘর্ষিক। সেজন্য নতুন করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, কক্সবাজারের র‌্যাবের সিওসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

গেল ২২শে ডিসেম্বর কক্সবাজারে স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটক ওই নারীকে ধর্ষণ করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ভুক্তভোগী নারী জানান, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন তরুণ। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এরপর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন তরুণ। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

পরে সে চক্রের মূলহোতা আশিকুলসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভুক্তভোগীর স্বামী সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন: আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও বাবু। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৩ জনকে।

গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে র‌্যাবের কাছে আশিকুল ইসলাম আশিক বলেছেন, ওই নারী আশিকের পূর্বপরিচিত ছিলেন না। ঘটনার এক দিন আগে সৈকতে তাদের পরিচয় হয়। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে আশিকদের নজরে পড়েন ওই নারী। পরে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ওই নারীকে সুগন্ধা সৈকত থেকে জিম্মি করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া হয় একটি চায়ের দোকানে। সেখান থেকে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে সৈকত এলাকার আশিকসহ অপরাধী চক্রের সদস্যরা ধর্ষণ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে