ভোটকেন্দ্রে অবরুদ্ধ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশকে ৩০০ গুলি ছুড়ে উদ্ধার
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হতে পারেন- এমন আশঙ্কায় দুই ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ পাঁচজনকে আটকে রাখেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিনের সমর্থকরা। পরে, খবর পেয়ে র্যাব-১০ এর একটি দল তাদের উদ্ধার করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় র্যাব সদস্যদের গাড়িও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও র্যাব ৩০০টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার হজরতপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনাকালে এ ঘটনা ঘটে। আর দলীয় আদেশ অমান্য করায় বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর কেরানীগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল হাসান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভোট গণনা চলার সময় আলাউদ্দিন পরাজিত হতে পারেন- এ আশঙ্কায় তার সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত দুই ম্যাজিস্ট্রেট, একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন। পরে সেখানে কর্তব্যরত অপর পুলিশ সদস্য কেরানীগঞ্জে র্যাব ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন। এরপর র্যাব সদস্যরা তাদের উদ্ধার করতে সেখানে যান।
ব্যালট বাক্সসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশে রওনা হলে পথে আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও গুলি ছুড়তে থাকেন। র্যাবও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে র্যাবের পথ আটকে দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে আসার পর র্যাব-পুলিশ মিলে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে বালুভর্তি ট্রাক সরিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে নিয়ে অক্ষত অবস্থায় কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পৌঁছান বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ফখরুল হাসান।
