প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বগুড়া সিআইডির অভিযানে হত্যামালার আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২০; সময়: ১০:১৩ অপরাহ্ণ |
প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বগুড়া সিআইডির অভিযানে হত্যামালার আসামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে দির্ঘদিনের ক্লুলেস মামলার সকল তথ্য উদঘাটনসহ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলার সিআইডি। বৃহস্পতিবার বগুড়া সিআইডির গনমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

উল্লেখিত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ খ্রিঃ দুপুরবেলা বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন শেরপুর ইসলামী ব্যাংক হাইওয়ে শাখা হতে মামলার বাদী আব্দুল মজিদসহ তার ভাই ও শ্বাশুরী নগদ ১,৩৯,০০০/- টাকা উত্তোলন করে অটোরিক্সা যোগে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিছুদুর যাওয়ার পর একই থানাধীন মির্জাপুর নামক স্থানে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে পৌঁছিলে পেছন দিক থেকে একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাস তাদের অটোরিক্সার গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ৩ জন বের হয়ে নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীকে চড়-থাপ্পর মেরে তার হাত থেকে টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে মাইক্রোবাস যোগে ঢাকার দিকে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মো: আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শেরপুর থানার মামলা নম্বর: ১৫ তারিখ: ১৮/৯/২০১৪ খি: ধারা ৩৪১/৩২৩/১৭০/৩৭৯ পেনাল কোড দায়ের করে। শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করলেও মামলার মুল তথ্য উদঘাটন বা কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় না। একপর্যায়ে শেরপুর থানা পুলিশ কাউকে অভিযুক্ত না করেই বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত ঐ পুলিশ রিপোর্ট গ্রহরাজ না করে মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি বগুড়াকে নির্দেশ প্রদান করে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ খ্রিঃ সিআইডি বগুড়া মামলার অধিকতর তদন্তভার গ্রহন করে মামলার মুল তথ্য উদঘাটনসহ জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করে। ইতিমধ্যে বদলী জনিত কারনে একাধিক তদন্তকারী পরিবর্তন হয়। বর্তমান তদন্তকারী অফিসার সিআইডি বগুড়া জেলার এসআই মোঃ শামীম হায়দার গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রি: মামলার তদন্তভার গ্রহন করে বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত শুরু করে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ কাউছার সিকদার, সিআইডি বগুড়া জেলার দিক-নির্দেশনায় সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ শামীম হায়দার আজ ২ ডিসেম্বর ভোররাত্রে সিআইডি ঢাকা জেলা এবং ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা উদ্যানের প্রধান গেটের সামনে থেকে আপরাধ কাজে ব্যবহৃত উদ্ধারকৃত ঔ মাইক্রোবাসের চালক মামলার তদন্তে প্রধান অভিযুক্ত আসামী মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪০) পিতা মৃত বাচ্চু মীর গ্রাম: সাচড়া বাথানবাড়ী থানা: বোরহান উদ্দিন জেলা: ভোলাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

২ ডিসেম্বর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বগুড়ায় গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেন মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রকাশ করে ফৌ: কা: বি: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে