কুষ্টিয়ায় তিন কার্যদিবসে ধর্ষণ মামলার রায়, মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২০; সময়: ৪:২৬ অপরাহ্ণ |
কুষ্টিয়ায় তিন কার্যদিবসে ধর্ষণ মামলার রায়, মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় প্রদান করলো আদালত। রায়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মুুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান। জরিমানার অর্থ আনাদায়ে আরো ১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।

দুপুর সোয়া ১টায় আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন তিনি। এত দ্রুত সময়ে রায় দেয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম। দেড় মাস আগে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালত সুত্র জানিয়েছে, গত ৩ ও ৪ অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদরাসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে দুই দফায় ধর্ষণ করে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের। ঘটনার পর তার পিতা বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন পুলিশ মাওলানা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে আব্দুল কাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। মিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মাত্র ৭ দিনের মাথায় আদালতে গত ১৩ অক্টোবর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট প্রদান করে।

এরপর গত ১২ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার চার্জ গঠন করেন। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ছুটি ছিল। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জনের স্বাক্ষ্য নেয় আদালত। বিচার কার্য শুরুর মাত্র তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টায় আদালতের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান আসামীর উপস্থিতিতে রায় প্রদান করে। রায়ে আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। একই সাথে তাকে এক লক্ষ জরিমানা করা হয়েছে।

আদালতের পিপি আব্দুল হালিম বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার বিষয়টি দেশে বিরল। দ্রুত এ রায়ের মাধ্যমে নির্যাতিত পরিবারটি ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রাযের মাধ্যমে আদালতের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা আরো বেড়ে গেল। আগামীতে দ্রুততম সময়ের মাধ্যে এ ধরনের রায় আরো হবে বলে আমরা আশা করছি।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন,‘ মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা দায়ের করে তার পিতা। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে চার্জশীট দেয় আদালতে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে