আদালতকে ধর্ষণের বিস্তারিত জানালেন তরুণী গৃহবধূ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার হওয়া গৃহবধূ আলাদাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে তার জবানববন্দি দেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে তার জবানবন্দি দেয়া শেষ হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে পুলিশ ভুক্তভোগী তরুণীকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে আদালতে নিয়ে আসে। দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালতে তার জবানববন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এ সময়, তরুণীর সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ও তার স্বামী উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে। সেখানে দু’জনকেই মারধর করে তারা। পরে, ছাত্রাবাসের ভেতরে নেয়ার পর তরুণীর স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘন্টাখানেক পর দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ধর্ষণের শিকার তরুণী বর্তমানে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা হলেন, সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবেই পরিচিত।
এ ছয়জনের মধ্যে পুলিশ রবিবার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুন লস্কর নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।