স্যার রিমান্ডটা একটু কনসিডার করেন: সাহেদ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : স্যার আমি অসুস্থ। আজ ২০ দিন ধরে রিমান্ডে। এখনও ২৭ দিন রিমান্ডে থাকতে হবে। আমার রিমান্ডটা একটু কনসিডার করেন। সোমবার (১০ আগস্ট) দুদকের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারককে লক্ষ্য করে এই অনুরোধ জানান রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ।
এদিন আদালতে শাহেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, শাহেদ জালিয়াতির মাধ্যমে পদ্মা ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করেছেন। তাকে রিমান্ডে নিলে সব রহস্য বের হয়ে আসবে। এরপর শাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক।
আজ শুনানির আগে শাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। তখন বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
গত ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে শাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ তে মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১-২১ জানুয়ারির মধ্যে আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে এক কোটি টাকা (যা সুদ-আসলসহ বর্তমানে দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।
166