যৌতুক মামলায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক কারাগারে

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২০; সময়: ১০:৪২ অপরাহ্ণ |
যৌতুক মামলায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক কারাগারে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যৌতুকের জন্য মারপিটের অভিযোগে চতুর্থ স্ত্রীর করা মামলায় যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক তোহিদুজ্জামান মিঠু কারাগারে। সোমবার বাঘারপাড়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মিঠু বাঘারপাড়ার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণি বিশ্বাসরে ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি তোহিদুজ্জামান মিঠু যশোর উপশহর ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক। ৬ মাস আগে পারিবারিক ভাবে তোহিদুজ্জামান একই উপজেলার পশ্চিমা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। এ আগে তোহিদুজ্জামন আরও তিনটি বিয়ে করেছিলেন। তিনি তার আগের স্ত্রীদের যৌতুকের দাবিতে শারিরিক ও মানষিক নির্যতন করে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতে আসামি তোহিদুজ্জামান তার স্ত্রী তানিয়াকে যৌতুক দাবি করে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে পিতার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয় হয় তোহিদুজ্জামানকে। তোহিদুজ্জামান গ্রামের বাড়ি পুকুরিয়ায় বসবাস করেন। গত ১৮ জুন আসামি তোহিদুজ্জামান বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ায়র সময় তার স্ত্রীকে পিতার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা এনে দিতে বলে।

এ সময় তায়িনা খাতুন যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় তোহিদুজ্জামান মারপিট করে জখম করে। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে চলে যায়। পরে বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তানিয়া খাতুন তার স্বামী তোহিদুজ্জামান মিঠুকে আসামি করে যৌতুকের জন্য মারপিটরে অভিযোগে বাঘাপাড়া থানায় মামলা করেন।

মামলার তনন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার দাস মামলার অভিযোগে ভিত্তিতে মিঠুকে আটক করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করেন। বিচারক আসামি তোহিদুজ্জামান মিঠুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে