রাজশাহীতে অনলাইন আদালতে একদিনে ৩৬১ জনের জামিন

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২০; সময়: ১০:৪০ অপরাহ্ণ |

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর ভার্চুয়াল কোর্টে মঙ্গলবার আরও ৩৬১ জন আসামি জামিন পেয়েছেন। এনিয়ে তিন দিনে মোট ৫১৯ জন আসামির জামিন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়লে সরকার ও আইনজীবী উভয় পক্ষ বসে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এই ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জামিন পাওয়া মোট ৩৬১ জন আসামির মধ্যে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৯০ জন, মহানগর দায়রা জজ আদালত ৩৬ জন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৪৭ জন এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৮৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বাঘা উপজেলার আসামি বাবুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের আদালত। এছাড়াও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বিরোধী প্রচারণার আড়ালে দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে রাজশাহীতে কার্যক্রম শুরুর পর ১৭ মে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে তিন মামলায় ৫ জনের জামিন মঞ্জুর হয়। পরদিন ১৮ মে রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতসমূহে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে ১৫৩ জনের জামিন হয়। শুরুর দিকে ভার্চুয়াল কোর্ট নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিলেও পরবর্তিতে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সূরাহার পর ভার্চুয়াল কোর্টে বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, উল্লিখিত ই-মেইল আইডিতে জরুরি জামিন আবেদন, সংশ্লিষ্ট দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা (সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সদস্য নম্বর, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর) স্ক্যান করে সফটকপি ভার্চুয়াল আদালতে দাখিল করতে হবে।

আদালতের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এর ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্ট জারি করা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে এই কোর্ট গঠন করার নির্দেশনা আসে। এদিকে ভার্চুয়াল কোর্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হওয়ার মাঝেই গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজশাহীতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে