১৭ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২; সময়: ১:৩৪ অপরাহ্ণ |
১৭ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। পাকিস্তান আমল থেকে এ দাবি থাকলেও বাস্তবায়ন হয় ২০০৬ সালের ২৮ মে। এদিন দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

২৮ মে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ। ঐতিহাসিক শালবন বিহারের কোঁলঘেষে গড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয়টি লালমাটি আর সবুজের প্রকৃতিতে অপরূপ হয়ে উঠেছে।

মাত্র ৩০০ জন শিক্ষার্থী আর ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে পথচলা শুরু করা বিদ্যাপীঠটি আজ পরিপূর্ণ। নানা সীমাবদ্ধতা, সংকট ও অপ্রাপ্তির মাঝেও এগিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ৬টি অনুষদে ১৯টি বিভাগে রয়েছে সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী ও ২৬৬ জন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ব্যাচ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিএস, মাইক্রোসফট, ব্যাংক, সরকারি বিভিন্ন চাকরিতে নিজেদের সামার্থ্যের প্রমাণ করছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি আবাসিক হল ও দুটি শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমেটরি রয়েছে। একটি ছাত্রী হল ও ১টি শিক্ষক ডরমেটরি কাম গেস্ট হাউজ নিমার্ণাধীন। কর্মচারীদের জন্য নেই কোনো আবাসন ব্যবস্থা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ায় নেই সরকারি ভুর্তুকি। লালন চত্বর, মুক্তমঞ্চ, কাঠাঁলতলা, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেন গল্পে-আড্ডায়।

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষার্থীদের গানে গানে মুখরিত থাকে চত্বরগুলো। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতি ও সহ কার্যক্রমে এগিয়ে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মতো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো সক্রিয়। এছাড়া সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং সোসাইটি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, থিয়েটার, প্রতিবর্তন, অনুপ্রাস, সায়েন্স ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, ট্র্যাভেলার্স সোসাইটি, গবেষণা সংসদের মতো বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ৭ম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম. আবদুল মঈন। তিনি গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমার একটাই প্রত্যশা লোখপড়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়া। আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি আরো বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের গবেষণায় এগিয়ে আনতে আমরা ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড চালু প্রক্রিয়াধীন। তারা যেন আরো ভালো পড়াশোনা করে গবেষণায় আসতে পারে।

এটা শিক্ষকদেরও দেয়া হবে, যারা ভালো পেপার পাবলিস্ট করবে তাদেরকে দিবো। বিশ্ববিদ্যালয়কে উঠানোর জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেভাবে কাজ করছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে